বিশ্বভারতী।—ছবি সংগৃহীত।
ভাষাভবনের তিন প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে ভাষাভবনের দুই অফিস-কর্মীকে। পাঁচ জনের বিরুদ্ধেই ‘চার বছর ধরে এক অস্তিত্বহীন কর্মীর’ নামে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে।
ওই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য এক সদস্যের কমিটি গড়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। সেই কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই ৩ জুলাই বিশ্বভারতী কর্মসমিতির বৈঠকে পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রবিবার সাসপেশনের চিঠি পেয়েছেন তাঁরা। সাসপেন্ড হওয়া তিন প্রাক্তন অধ্যক্ষ এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
অন্য দিকে, পৃথক ঘটনায় তিন কর্মীকেও সাসপেন্ড করা হয়। তার মধ্যে রয়েছেন কর্মিসভার বর্তমান সম্পাদকও। ২০১৯ সালে অর্ক দাস নামে এক কর্মীর বদলির সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেন কর্মিসভার সদস্যরা। ঘেরাওয়ে উপস্থিত কর্মিসভায় চার সদস্যের বিরুদ্ধে ১৯ অক্টোবর শান্তিনিকেতন থানায় এফআইআর দায়ের করেন কর্তৃপক্ষ। অফিস চলাকালীন উপাচার্য কর্মসচিব-সহ আধিকারিকদের অনৈতিক ভাবে ঘেরাও করার বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করা হয়। কর্মসমিতির সদস্য তথা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মঞ্জুমোহন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ৩ জুলাইয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে তিন কর্মীকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কর্মিসভায় সভাপতি গগন সরকার বলেন, ‘‘আমরা কোনও ঘেরাও করিনি। মানবিকতার খাতিরে অর্ক দাসের বদলির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলাম। তার ভিত্তিতে অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।’’