উর্জেন তামাং। — ফাইল চিত্র।
যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন ১৫ জনের দলে। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন মৃত। রয়েছেন বাকি দুই। এক ভিডিয়ো-বার্তায় (সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) সম্প্রতি সে কথা জানিয়েছেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে থাকা পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পঙের বাসিন্দা উর্জেন তামাং।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আলোচনার পরে, দেশে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী উর্জেন যোগাযোগ করেছেন কালিম্পং পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন রবি প্রধানের সঙ্গে।
রবি প্রধান শুক্রবার বলেন, ‘‘উর্জেন ১৫ জনের যে দলের সঙ্গে ছিলেন, তার মধ্যে ১৩ জন মারা গিয়েছেন। উর্জেন এবং শ্রীলঙ্কার আর এক জন এখনও জীবিত। এর আগে উনি মার্চ মাসে কালিম্পঙের বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিলেন রাশিয়ায় আটকে পড়েছেন।
পরিবার সে কথা জানানোয় বিষয়টি বিদেশ মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে ওঁকে উদ্ধারের জন্য আর্জি জানিয়েছিলাম। সেখান থেকে জানানো হয়, মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা জেনেছেন, সাহায্যের চেষ্টা হচ্ছে।’’ রবির সংযোজন: ‘‘তার পর থেকে ওঁর সঙ্গে নিয়মিত মোবাইল-বার্তায় যোগাযোগ হয়েছে। দু’দিন আগে উনি ওঁর বতর্মান পরিস্থিতি জানান। ওঁকে জানিয়েছি, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের কথা হয়েছে। উর্জেন আশাবাদী, দেশে ফিরতে পারবেন।’’
২০১৮ পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন বছর সাতচল্লিশের উর্জেন। অবসরের পরে, কালিম্পং পুর-এলাকার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে কিছু দিন ছিলেন। করোনা-কালের আগে, গুজরাতের এক গ্যাস কারখানায় চাকরি নেন। সেখান থেকেই এজেন্ট মারফত নিরাপত্তা সংস্থার কাজে তিনি রাশিয়া যাবেন বলে গত জানুয়ারিতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয় বলে জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী অম্বিকা। পরে এজেন্টের জন্য রাশিয়ায় তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে আটকে পড়েছেন বলে উর্জেন দাবি করেছিলেন। দু’দিন আগে পাঠানো ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে দেখা যায়, এখন তাঁদের ১০-১২ দিনের জন্য বিশ্রাম নিতে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বনাঞ্চল আছে। দোকান রয়েছে। শিবির থেকে বাড়িতে ফোন করতে ওয়াই-ফাই সংযোগ প্রয়োজন। তবে তা ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না।