Urban Development Department

পুর-প্রশাসক প্রসঙ্গে ‘অঙ্গীকার’ চাইল দফতর

পুরসভাগুলিকে আর্থিক বিধি মেনে চলার হলফনামা পেশ করতে বলেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:২১
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

রাজ্যের অধিকাংশ পুরসভায় এখন কোনও নির্বাচিত বোর্ড নেই। পরিবর্তে সরকার প্রতিটি পুরসভায় প্রশাসকমণ্ডলী তৈরি করে দিয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়া চেয়ারম্যান বা মেয়রদেরই প্রশাসকমণ্ডলীর মাথায় রেখে পুরসভা পরিচালনা করছে সরকার। কিন্তু পদে বসানোর আগে পুর প্রশাসন পরিচালনা এবং আর্থিক বিধি মেনে চলার জন্য প্রশাসকমণ্ডলীর জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সেই নির্দেশ যে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা হচ্ছে তা প্রশাসকদের জানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস কেটে গেলেও দু’একটি বাদে কোনও পুরসভা এই রিপোর্ট দফতরের কাছে পাঠায়নি। নানা স্থান থেকে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও আসতে শুরু করেছে। বাধ্য হয়ে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রশাসকমণ্ডলী গঠিত হয়েছে এমন পুরসভাগুলিকে আর্থিক বিধি মেনে চলার হলফনামা পেশ করতে বলেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।

Advertisement

প্রশাসকমণ্ডলী গঠনের পর নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, পুর আইন মেনেই সাময়িকভাবে পুরসভা পরিচালনার ভার প্রশাসকমণ্ডলীর হাতে থাকবে। প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পুরপ্রধানের নির্ধারিত ক্ষমতা ভোগ করবেন। পুর আইনে পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার এবং ফিনান্স অফিসারের যে দায়িত্ব বর্ণিত রয়েছে, তা পূর্ণমাত্রায় বহাল থাকবে। প্রশাসকমণ্ডলীর প্রতিটি বৈঠকে এগজিকিউটিভ অফিসার এবং ফিনান্স অফিসারকে উপস্থিত থাকতে হবে। পুরসভার যাবতীয় খরচের ক্ষেত্রে চেক সই করার ক্ষমতা থাকবে কেবলমাত্র ওই দুই আধিকারিকের। প্রশাসকমণ্ডলীর কোনও সদস্য বা চেয়ারম্যানের চেক সই করার ক্ষমতা থাকবে না। এই ছ’দফা নির্দেশিকা অক্ষরে অক্ষরে পালন হচ্ছে তা ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুর দফতরকে জানাতে বলা হয়েছিল।

কী কী অভিযোগ আসছে?

Advertisement

পুর কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ২০১৯ এর শেষ দিকে অর্থ দফতর জানিয়েছিল, পুরসভাগুলি নিজস্ব তহবিলের নামে অজস্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা রাখছে এবং খরচ করছে। ফলে কোন খাতের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে তা বোঝা মুশকিল। সেই কারণে সমস্ত পুরসভাকে নিজস্ব তহবিলের জন্য একটি মাত্র অ্যাকাউন্ট খুলে স্থানীয় ট্রেজারির লোকাল ফান্ড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে বলা হয়েছিল। একইভাবে পুর চেয়ারম্যান বা মেয়রের চেক সই করার ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে এগজিকিউটিভ অফিসার ও ফিনান্স অফিসারের কাছে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। দু’টি নিয়মই নতুন প্রশাসকমণ্ডলীর অনীহা রয়েছে বলে দফতর জানতে পেরেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement