মিরিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত জিটিএ অফিস। —নিজস্ব চিত্র।
প্রশাসনের চাপ যত বাড়ছে জঙ্গি আন্দোলনের তীব্রতা যেন ততই বাড়িয়ে দিচ্ছে মোর্চা। রাতভর মোর্চার তাণ্ডবে জখম হলেন সদ্য তৃণমূলের ঝুলিতে আসা মিরিক পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল পার্বত্য কাউন্সিলের একটি অফিসে। অভিযোগ উঠল পুলিশের গাড়ি থেকে অস্ত্র ছিনতাইয়েরও।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ মিরিক পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান এম কে জিম্বার বাড়িতে হামলা চালায় এক দল মোর্চা সমর্থক। জিম্বার বাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। বাড়ির একাংশ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মাথায় চোট পেয়ে মিরিক হাসপাতালে চিকিত্সাধীন জিম্বা। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা। এর পর মিরিকে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল (ডিজিএইচসি)-এর একটি দফতরে আগুন লাগিয়ে দেন মোর্চা সমর্থকরা। টুং পঞ্চায়েত দফতরেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দার্জিলিঙের রংলি রংলিওটে পুলিশের একটি পেট্রল গাড়ি থেকে অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগও উঠেছে মোর্চা সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মিরিক থানার ওসি এল বি রাই জানান, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: দেগে দেওয়ার আতঙ্কেই সায় আন্দোলনে
মোর্চা সমর্থকদের বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
গত মঙ্গলবারই দার্জিলিঙের চকবাজারে পিঠে টিউবলাইট ভেঙে বিক্ষোভ দেখান মোর্চা সমর্থকরা। পুড়িয়ে ফেলা হয় জিটিএ-র চুক্তিপত্র। সেই দিনই জিটিএ-র ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের অফিসে এবং দার্জিলিংয়ের ফুলবাজার এলাকায় রাজবাড়ি পঞ্চায়েত অফিসেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দু’টি ঘটনাতেই অভিযোগের তির মোর্চার দিকে। যদিও, এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে মোর্চা। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গের অবশ্য দাবি, সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন।
এ দিকে টানা চলতে থাকা মোর্চা আন্দোলনের জেরে পাহাড়ের স্বাভাবিক জনজীবন থমকে গিয়েছে। দোকানপাট বন্ধ। টান পড়ছে খাবারেও। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা। সব মিলিয়ে দার্জিলিংয়ে পরিস্থিতি এখনও যথেষ্টই থমথমে।