প্রতীকী ছবি।
নিজের পছন্দের মানুষের সঙ্গে মাত্র চার মাস আগে তাঁর বিয়ে হয়। তাই সেজেগুজে স্বামীর সঙ্গে বেশ আনন্দ করেই বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন কিশোরী বধূ। ‘দোষে’র মধ্যে বিয়েবাড়িতে উপস্থিত আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলান। আর সেটাই যেন কাল হল তাঁর। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের রোষে পড়েন তিনি। বাড়িতে ফিরতেই শুরু হয় তুমুল অশান্তি। পর দিন সকালে ঘর থেকে ওই কিশোরীর গলায় ফাঁস লাগানো নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার সকালে বাসন্তীর ১ নম্বর চড়াবিদ্যা এলাকার ঘটনা। কিশোরীর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁর স্বামী এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তাই এটা নেহাতই আত্মহত্যা নাকি খুন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর নাম স্বপ্না নস্কর (১৮)। স্বপ্না বাসন্তীর ৮ নম্বর তিতকুমারের বাসিন্দা অনিল মণ্ডলের ছোট মেয়ে। স্বামী সুবীরের সঙ্গে স্বপ্নার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। মাস চারেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। স্বপ্নার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের এই সম্পর্ক স্বপ্নার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কোনও দিনই মানতে পারেননি। যে কারণে বিয়ের আগে একবার সুবীরের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল কিশোরী মেয়েটি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ হোমে পাঠায়। হোম থেকে ফিরেই সুবীরের সঙ্গেই বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু তা সত্ত্বেও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মেনে নেননি এবং তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলত বলে অভিযোগ করেছেন কিশোরীর বাপের বাড়ির লোকজন।
আরও পড়ুন: শ্মশানে পুড়ছে বাবা, কান্না গিলে পরীক্ষা দিচ্ছে মেয়ে
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে স্বপ্না স্বামীর সঙ্গে একটি বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে গানের তালে নেচেছিলেন। এই নিয়ে শাশুড়ি-স্বামী রাগারাগি করতে করতে তাঁকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়িতে ফিরেও স্বামী-শাশুড়ি এই নিয়ে তুমুল অশান্তি করে স্বপ্নার সঙ্গে। পর দিন সকালেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।