পানিহাটির যুবকের রহস্য-মৃত্যু হায়দরাবাদে

পরিবারের একমাত্র রোজগেরে, পানিহাটি পানশিলার বাসিন্দা সুদীপ শিকদার (৩৫) চাকরিসূত্রে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদে। তাঁর মৃত্যুর খবর আসায় হতবাক পরিবার। শোকের ছায়া এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, সুদীপকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৫১
Share:

সুদীপ শিকদার

সপ্তাহখানেকের মধ্যে বাড়ি ফিরবেন বলে হায়দরাবাদ থেকে ফোনে বাবাকে জানিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে ফোন এল সেই হায়দরাবাদ থেকেই। কিন্তু ছেলের ফেরার খবর নয়, এল তাঁর মৃত্যুসংবাদ।

Advertisement

পরিবারের একমাত্র রোজগেরে, পানিহাটি পানশিলার বাসিন্দা সুদীপ শিকদার (৩৫) চাকরিসূত্রে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদে। তাঁর মৃত্যুর খবর আসায় হতবাক পরিবার। শোকের ছায়া এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, সুদীপকে খুন করা হয়েছে।

স্থানীয় ঘোলা থানাতেও বিষয়টি জানিয়েছে তাঁর পরিবার। এক আত্মীয়ের মাধ্যমে হায়দরাবাদে কাজ পেয়েছিলেন সুদীপ। সেই আত্মীয়ের ছেলেও সেখানে কর্মরত। দিন দুই আগে তিনিই খবর দিয়েছিলেন, কাচে হাত কেটে হাসপাতালে ভর্তি সুদীপ। অভিযোগ, গত দু’দিনে তিনি পরস্পর-বিরোধী খবর দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন।

Advertisement

সুদীপের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী নীপা ও বৃদ্ধ বাবা-মা। বাবা প্রদীপবাবু জানান, সুদীপ এক ঠিকাদারের কাছে কাজ করতেন। বেতন কম বলে অন্য কাজ খুঁজছিলেন। তাঁর ওই আত্মীয়ের ছেলে হায়দরাবাদের একটি ঠিকাদারি সংস্থায় কাজ করেন। তিনিই সুদীপকে সেখানে যেতে বলেন।

গত লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন সুদীপ হায়দরাবাদ রওনা দেন। সেখানে এক ঠিকাদারি সংস্থায় সুপারভাইজারের কাজ পেয়েছিলেন তিনি। বুধবার রাতে ফোনে বলেছিলেন, দিন সাতেকের মধ্যেই ফিরবেন।

প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘দিন পনেরো আগে ছেলে বলেছিল, ওর উন্নতি সহ্য করতে না পেরে স্থানীয় শ্রমিকেরা ওকে মারধরের চেষ্টা করেছিল।’’ তিনি জানান, বুধবার রাতে ওই আত্মীয়ের ছেলে ফোনে জানান, বোতল ভেঙে সুদীপের হাত কেটে গিয়েছে। পরে তিনি বলেন, সুদীপ নিজেই বোতলে ঘুষি মেরেছেন। বারবার চাইলেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার জানানো হয়, হাতের শিরা কেটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে সুদীপের। তাঁর দেহ হায়দরাবাদ থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement