—ফাইল চিত্র।
তৃণমূল যেখানে প্রতি বছর ২১ জুলাইয়ের সভা করে, বুধবার দুপুরে ধর্মতলার ঠিক সেই জায়গায় বুধবার জনসভা করবে বিজেপি। সব কিছু ঠিক থাকলে, সেই সভায় যোগ দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। বিজেপি সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরেই কলকাতায় নামবেন শাহ। তার পর সভা সেরে তিনি আবার দিল্লি উড়ে যাবেন বিকেলের বিমানে।
দলীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দিল্লির ৬এ কৃষ্ণ মেনন মার্গ থেকে বেরোনোর কথা শাহের। এর পর বেলা ১১টা নাগাদ বায়ুসেনার বিমান চড়বেন তিনি। সেই বিমানেই দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা তাঁর। যাত্রাপথেই মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তিনি। শহরে নেমে কপ্টারে করে শাহ যাবেন রেসকোর্সে। সেখান থেকে পৌনে ২টো নাগাদ ধর্মতলার সভামঞ্চে পৌঁছনোর কথা শাহের। সভা শেষে সাড়ে ৩টে নাগাদ তিনি আবার রেসকোর্স থেকে কপ্টারে করে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন। সেখানে বায়ুসেনার বিমানে করেই পৌনে ৪টে নাগাদ দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন।
ধর্মতলার সভা নিয়ে বিস্তর টানাপড়েন চলেছে। দু’বার পুলিশের কাছে আবেদন করেও অনুমতি না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে গত শুক্রবারই চূড়ান্ত অনুমোদন মিলেছে। তার পরে রবিবার থেকেই মঞ্চ বাঁধার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল। বিজেপি সূত্রে যা জানা গিয়েছে তাতে, তৃণমূল ‘শহিদ দিবস’-এর সভায় যেমন মঞ্চ বাঁধে, তেমনটাই করতে চায় বিজেপি। ত্রিস্তরীয় মঞ্চে নেতাদের পাশাপাশি দলের নিহত কর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও বসার ব্যবস্থা থাকবে। শাহের বক্তৃতা করার জায়গাও আলাদা হবে। যেমনটা তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য করে। রবিবার তারই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হল। যেখানে মঞ্চ বাঁধা হবে, সেই জায়গায় খুঁটিপুজো হয় রবিবার।
দিল্লিতে সদ্য ক্ষমতায় আসা বিজেপির ২০১৪ সালের সভায় উল্লেখযোগ্য জমায়েত ছিল ধর্মতলায়। সে বারেও শাহ এসেছিলেন। এ বারেও আসছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে আগে শাহের সামনে বড় জমায়েত করাই এখন বিজেপির বড় লক্ষ্য। সেই কারণে বিজেপি রাজ্য জু়ড়ে প্রচারে নেমেছে। রবিবারই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচারে রয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ দলের সাংসদ, বিধায়কেরা। রবিবার খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠানে তাঁরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তবে এসেছিলেন দুই রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী।
বিজেপি সূত্রে খবর, বুধবার ১২টা থেকে সভা শুরু হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিবর্তে হবে রাজনৈতিক নাটক। তৃণমূলকে আক্রমণ করে গান গাইবেন দলের কবিয়াল বিধায়ক অসীম সরকার। ব্যঙ্গ কবিতা আবৃত্তি করবেন অভিনেতা রাজনীতিক রুদ্রনীল ঘোষ। রাজ্য নেতাদের বক্তৃতা শেষে শাহ বলা শুরু করবেন দুপুর আড়াইটে নাগাদ।