—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে দু’বার ভর্তি নেওয়া হবে, জাতীয় স্তরে প্রবেশিকায় সফল হলেই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর— দুই স্তরেই যে কোনও বিষয় পড়া যাবে, হাজিরায় কোনও কড়াকড়ি থাকবে না, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কোর্স শেষ করা যাবে, ‘মাল্টিপল এন্ট্রি’র সুযোগ থাকবে। বৃহস্পতিবার ইউজিসি প্রকাশিত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পঠনপাঠনের বিধির খসড়ায় এমনই উল্লেখ করা হয়েছে। ইউজিসি চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, দেশের উচ্চশিক্ষাকে বিশ্বমানের করার লক্ষ্যেই এমন সংস্কার করা হচ্ছে। এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই খসড়া নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।
খসড়ায় বলা হয়েছে, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে ভর্তি নেওয়া যাবে দু’বার। জুলাই-অগস্ট এবং জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। জাতীয় স্তর অথবা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের প্রবেশিকায় সফল হলেই স্নাতক, স্নাতকোত্তরে যে কোনও বিষয় পড়া যাবে। এই ক্ষেত্রে দ্বাদশ অথবা স্নাতক স্তরে কী পড়েছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ হবে না। পড়ুয়া ইচ্ছে করলে পড়াশোনা শুরু করে আবার তা বন্ধ করে আবারও ফিরে আসতে পারবেন (মাল্টিপল এন্ট্রি এবং এগজ়িট)। কোনও পড়ুয়া চাইলে স্নাতকস্তরে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কোর্স শেষ করতে পারবেন। একই সঙ্গে দু’টি কোর্স করা যাবে এবং ডিগ্রিও মিলবে।
আগে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট উপস্থিতির হার নিয়ে ইউজিসির কড়া নির্দেশ ছিল। এ বার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেরাই স্থির করতে পারবে তাদের পড়ুয়াদের হাজিরা কত শতাংশ থাকতে হবে। জানানো হয়েছে, স্নাতক স্তরে পাশের ক্ষেত্রে পড়ুয়াকে মেজর-সহ মোট ক্রেডিটের ন্যূনতম ৫০% নম্বর পেতে হবে। বাকি ৫০% ক্রেডিটের জন্য স্কিল কোর্স, অ্যাপ্রেন্টিসশিপ-সহ কিছু বিষয়ে নম্বর তোলার সুযোগ থাকবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারী এই খসড়া প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ দিন লিখেছেন, ‘বিদেশের অনুকরণ করে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার খোলনলচে বদল হবে, কিন্তু অর্থ আসবে কোথা থেকে? আসলে চুপিচুপি পিছনের দরজা দিয়ে উচ্চশিক্ষাকে ব্যয়বহুল এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের দিকে ঠেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা, যাতে তা সাধারণ বাড়ির ছেলেমেয়েদের সাধ্যের বাইরে চলে যায়!’