হেলে পড়েছে দু’টি বহুতল। —নিজস্ব চিত্র।
কয়েক দিন আগেই বাঘাযতীনে ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। বুধবার ট্যাংরাতেও হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। জায়গায় জায়গায় বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে সেই একই ছবি দেখা গেল হাওড়ার শরৎ চ্যাটার্জি রোডে। সেখানে একে অপরের দিকে হেলে রয়েছে জোড়া ফ্ল্যাটবাড়ি। শুধু তা-ই নয়, বাড়ি দু’টির উপরের অংশ ঠেকেও গিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই হাওড়ার পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তীর নির্দেশে শুক্রবার সেখানে গেলেন পুরসভার বিল্ডিং দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা। সঙ্গে ছিল চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক বছর ধরেই ওই অবস্থায় রয়েছে বাড়ি দু’টি। এ নিয়ে ভীষণ ভাবে আতঙ্কিত স্থানীয়েরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোথাও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। শুক্রবার হেলা প়ড়া জোড়া ফ্ল্যাটবাড়ি পরিদর্শনের পর ইঞ্জিনিয়ারের দাবি করেছেন, তিনতলা পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণের অনুমতি ছিল। কিন্তু পাঁচতলা বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। ফলে দু’টি তলা বেআইনি।
সুজয় বলেন, ‘‘এখানে দু’টি বহুতল রয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে তৈরি হয়েছিল। এখন একটির উপর আর একটি হেলে রয়েছে। বাসিন্দারা এই অবস্থাতেই থাকেন। বহুতল দু’টি কী অবস্থায় রয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। ইঞ্জিনিয়ারেরাও রিপোর্ট দেবেন। তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যে হেতু বহুতল দু’টিতে বাসিন্দারা থাকেন, তাই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। করা হবে আইনি পদক্ষেপও। যে হেতু মানুষের সুরক্ষার বিষয় রয়েছে, তাই পুলিশ আলাদা করে তদন্ত করছে।’’