প্রতীকী ছবি
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যানের হিড়িক দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। ওই কার্ড নিতে অস্বীকার করলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে এফআইআর করারও নির্দেশ দেন তিনি। কিছু নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতালে এক রোগীর দু’বার বিল বা ভুয়ো বিল করার বিষয়টিও স্বাস্থ্যকর্তাদের নজরে এসেছে। এই অবস্থায় রাজ্য ও জেলা স্তরে জোরদার নজরদারি চালাতে দ্বিস্তর কমিটি গড়ল স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য স্তরের ধাঁচে উত্তরবঙ্গে আরও একটি দল তৈরি করা হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, ‘‘বার বার করে সতর্ক করা সত্ত্বেও বেশ কিছু নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতালে অনিয়ম ধরা পড়ছে। জরিমানা ছাড়াও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বাতিল করা হবে লাইসেন্সও।’’ কোন কোন বিষয়ে কমিটিকে নজর রাখতে হবে, নির্দেশিকায় তা জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তাই রাজ্য স্তরে ১১ জনের কমিটির চেয়ারম্যান। জেলা স্তরে ১০ সদস্যের কমিটির শীর্ষ পদে থাকবেন সংশ্লিষ্ট মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। রাজ্য স্তরের কমিটিতে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা এবং জেলা স্তরের কমিটিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদেরও রাখা হয়েছে।
মাসে অন্তত ছ’টি বা তার বেশি নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে রোগী প্রত্যাখ্যান, বিল, অন্যান্য অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। জেলা স্তরের রিপোর্ট দিতে হবে স্বাস্থ্যসাথী পোর্টালে। কোনও নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অযৌক্তিক ভাবে ওষুধ, স্বাস্থ্য সরঞ্জাম এবং অন্য কিছু ব্যবহার করলে তা ড্রাগ কন্ট্রোলের অতিরিক্ত অধিকর্তাকে জানিয়ে যথাশীঘ্র আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।