Body found

Body found: কারখানা থেকে উদ্ধার দুই যুবকের রক্তাক্ত দেহ

দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করেন তাঁরা। দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মগরাহাট শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২২ ০৯:২৭
Share:

মলয় মাখাল এবং বরুণ চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।

দুই যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার সকালে ধুন্ধুমার বাধল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের মাগুরপুকুর গ্রামে। মাগুরপুকুর-আমড়াতলা রোডের বাঁশতলা মোড়ের কাছে জানে আলম নামে এক ব্যক্তির কারখানা থেকে দুই যুবকের দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম বরুণ চক্রবর্তী (২৬) ও মলয় মাখাল (২৮)। দু’জনেরই বাড়ি ওই এলাকায়। বরুণ মগরাহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করতেন। মলয় কাপড়ের ব্যবসায়ী। তাঁদের কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের।

Advertisement

দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করেন তাঁরা। দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ আসে। র্যাহফ নামে। আগুন নেভাতে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আসে। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য গাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা মানতে চাননি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কোপানোর আগে গুলি করা হয়েছিল দুই যুবককে। সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নয় পুলিশ। পুলিশ সুপার জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে জানে আলমের কারখানার সামনে বরুণ ও মলয়ের বাইক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। আলমও সে সময়ে কারখানার গেটের কাছে দাঁড়িয়েছিল। বরুণ-মলয়দের খোঁজ করেন যুবকেরা। আলম জানায়, তাঁরা কারখানার ভিতরে বসে মদ্যপান করছেন। সন্দেহ হওয়ায় উঁকিঝুঁকি মারেন স্থানীয় ওই যুবকেরা। দেখা যায়, কারখানার বন্ধ গেটের নীচথেকে রক্ত গড়িয়ে আসছে। লোকজন জড়ো হয়ে যায়। কারখানার ভিতরে দু’জনের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ততক্ষণে অবশ্য সরে পড়েছে আলম।
কিন্তু কেন খুন?

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আলমের কাছ থেকে ইমারতি সরঞ্জাম নেবেন বলে মলয় কিছু টাকা দিয়েছিলেন। সে টাকা ফেরত দিতে এ দিন সকালে মলয়কে ডাকে আলম। সঙ্গে আসেন বরুণও। টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে দুই যুবককে খুন করা হয় বলে অনুমান পুলিশের। আলমের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

বরুণ এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। মলয়ের মা শাসক দলের প্রাক্তন উপপ্রধান। এদিন এলাকায় আসেন মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক নমিতা সাহা। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, আলমের সঙ্গে পুরনো শত্রুতা ছিল মলয়-বরুণদের। আলমের কারখানায় পশুর হাড় রাখা হত। তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াত। সেই কারবারের প্রতিবাদ করেছিলেন বরুণ-মলয়রা। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement