—ফাইল চিত্র।ইস্তফা দিতে এলেন জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক নিজস্ব চিত্র।
বিধায়ক-পদে শপথ না নিয়েই বিধানসভার সদস্য হিসেবে ইস্তফা দিয়ে দিলেন বিজেপির দুই সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক। এ বারের বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়ে যথাক্রমে শান্তিপুর ও দিনহাটা থেকে জিতেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে লোকসভার দুই আসনে উপনির্বাচনে না গিয়ে দুই সাংসদের বিধানসভা কেন্দ্র বরং ছেড়ে দেওয়া ভাল। সেই মোতাবেকই বুধবার বিধানসভায় এসে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন নিশীথ ও জগন্নাথবাবু। তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করার চিঠিও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই নবনির্বাচিত বিধায়কের ইস্তফার কথা স্পিকারের দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনকে।
ইস্তফা দিতে এসে নিশীথ ও জগন্নাথবাবু দু’জনেই এ দিন বলেছেন, ‘‘দলের নির্দেশে আমরা বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। দু’টি আইনসভায় একসঙ্গে সদস্য থাকা যায় না। দলের নির্দেশেই বিধায়ক-পদ ছেড়ে দিচ্ছি।’’ ওই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য বিজেপি তৈরি বলেও দু’জনের দাবি। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এমন সিদ্ধান্তের জন্য বিজেপিকে কটাক্ষই করেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপির মূল লক্ষ্য ছিল বাংলায় ক্ষমতা দখল করা। সেই লক্ষ্য যখন পূরণ হয়নি, তখন বিজেপির মনে হয়েছে দু’টো লোকসভা কেন্দ্র খালি করার চেয়ে দু’জন বিধায়ক ছেড়ে দেওয়া ভাল। কিন্তু ওদের এই পরিকল্পনাহীন সিদ্ধান্তের জন্য মানুষকে আবার ভোট দিতে হবে!’’
বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রধান বিরোধী দলের সচেতক হিসেবে মনোজ টিগ্গার নির্বাচনের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে বিজেপির চিঠিও এ দিন স্পিকারের দফতরে পৌঁছেছে বলে পরিষদীয় সূত্রের খবর। এর পরে প্রথা মেনে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করবে বিধানসভা। তার পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিরোধী দলনেতা হবেন শুভেন্দু।
স্পিকারের ঘরে জগন্নাথ ও নিশীথ নিজস্ব চিত্র।