প্রতীকী ছবি।
নদিয়ার কালীগঞ্জ-গোবিন্দপুরে প্রায় ছ’কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেছে নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। এনসিবি-র পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা দিলীপ শ্রীবাস্তব শুক্রবার জানান, তিন কেজি মাদকের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবককে।
শ্রীবাস্তব জানান, ধৃতদের নাম ছালাউদ্দিন বিশ্বাস ও হাবিবুর শেখ। তারা বাড়িতে দেড় কেজি করে হেরোইন বানিয়ে বৃহস্পতিবার একসঙ্গে কৃষ্ণনগর আদালতের কাছে এক ব্যক্তিকে দিতে যাচ্ছিল।
মালদহ থেকে এক আফিম বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে এসেছেন এনসিবি অফিসারেরা। ২০১৫-য় মালদহের চৌধুরীপাড়ায় ১০ কাঠা জমিতে আফিম চাষ নষ্ট করে দিয়েছিল এনসিবি। সেই জমিটি ছিল জামাল শেখের। তখন থেকে জামালের খোঁজ চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চৌধুরীপাড়ার একটি মুদির দোকান থেকে জামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার মালদহে বাজেয়াপ্ত করা ২০ লক্ষ টাকার আফিম এনসিবি-র হাতে তুলে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ফরাক্কার ১৭ মাইলের কাছে বৈষ্ণবনগরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তাড়া খেয়ে এক ব্যক্তি ১.১ কেজি আফিমের প্যাকেট ফেলে পালায়। এনসিবি-র সন্দেহ, সেটি বাংলাদেশে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
গাঁজা-সহ ধৃত তিন জনকে গত মঙ্গলবার ১৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আলিপুর আদালত। এনসিবি সূত্রের খবর, ২০১১ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাটানগর থেকে ২৭৫ কেজি গাঁজা-সহ ধরা পড়ে পাঁচু সর্দার, শেখ সেলিম ও শেখ হারুন। হারুন সেলিমের ছেলে। ডিব্রুগড়ের একটি চা-বাগানের ছাপ মারা প্যাকেটে গাঁজা নিয়ে যাচ্ছিল তারা।
উত্তরবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে আফিমের মতো নেশার সামগ্রী বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে। আবার উত্তর-পূর্ব ভারতে চুটিয়ে গাঁজা চাষ করে সেই গাঁজা পাচার করা হচ্ছে ভারতের অন্যত্র। দু’দিনে উত্তর-পূর্ব ভারতের দুই রাজ্যে বিপুল পরিমাণ গাঁজা বাজেয়াপ্ত করার পরে এমনটাই মনে করছেন ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর কর্তারা। গাঁজা পাচারের অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিআরআই জানায়, বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার আমবাসা-জহরনগরে একটি লরির চালক গোপাল রায়কে গ্রেফতার করে লরিতে তাঁর কেবিনের পিছনের কুঠুরি থেকে ১১৩৭ কিলোগ্রাম গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বুধবার অসমের কাছাড় জেলার দিগারখালের কাছে একটি লরিতে প্রচুর পুরনো কাগজ নিয়ে যাচ্ছিল। কাগজের স্তূপের তলায় পাওয়া গিয়েছে ৭৫০ কেজি গাঁজা। লরিচালক-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।