‘ফির হেরা ফেরি’ ছবির দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
২১ দিনে টাকা দ্বিগুণ করার চক্করে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন ‘ফির হেরা ফেরি’ ছবির রাজু, শ্যাম, বাবুরাওয়েরা। পূর্ব বর্ধমানেও একই ভাবে টাকা দুই-তিন গুণ করার লোভে পড়ে প্রতারিত হলেন বেশ কয়েক জন! তদন্তে নেমে প্রতারণা চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে এক জনের নাম গোপাল সিংহ। তাঁর বাড়ি বর্ধমান শহরের কালনা রোডের খালাসিপাড়া এলাকায়। অন্য জনের নাম সীতারাম পোড়েল। বাড়ি রায়না থানার মুক্তার পাড়া এলাকায়। শনিবার গোপন সূত্র মারফত খবরের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বর্ধমান শহরের অনিতা সিনেমাগলির ভিতরে একটি হোটেলের তিনতলার ঘর থেকে দু’জনকে পাকড়াও করা হয়। হোটেলের ঘর থেকে বেশ কয়েকটি আয়োডিন ও হাইপো কেমিক্যালের শিশি, ৫০০ টাকার নোটের সাইজের কালো কাগজের বান্ডিল, প্রচুর সাদা কাগজ, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, সুতলি দড়ি-সহ আরও বেশ কিছু সামগ্রী মিলেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা তাঁদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ধৃত গোপাল বছরখানেক আগেও শহরের খাগড়াগড়, মাঠপাড়া এলাকা থেকে টাকা জাল করার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রা নকল করার কিছু সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়েই খদ্দের সেজে প্রতারকদের ডেরায় হানা দেওয়া হয়। এর পর সুযোগ বুঝে ঘিরে ফেলা হয় হোটেলের ঘর। কীভাবে চলছিল প্রতারণা? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে প্রতারকেরা খদ্দেরদের বোঝাতেন যে, তাঁদের কাছে যে কোনও পরিমাণ টাকা নিয়ে এলেই তাঁরা তা দ্বিগুণ করে ফেরত দিতে পারেন। এর পর কৌশলে ওই খদ্দেরের সামনেই দু’ধরনের তরল কেমিক্যাল (আয়োডিন ও হাইপো) ব্যবহার করে একটি ৫০০ টাকার নোট থেকে দু’টি নোট বানাতেন তাঁরা। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, ‘‘শনিবার বর্ধমান থানার পুলিশের তৎপরতায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’