Bengaluru Cafe Blast

বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বাসন মাজার জায়গায় বোমা রেখে এসেছিলেন দিঘা থেকে ধৃত মুসাভির! দাবি এনআইএর

এনআইএর দাবি, বিস্ফোরণের মূল ষড়যন্ত্রী হলেন আবদুল। গোটা বিষয়টি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজ-সহ একাধিক প্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে মিলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৪৬
Share:

এই ক্যাফের বাসন মাজার জায়গায় রাখা হয়েছিল বিস্ফোরক, দাবি এনআইএর। ছবি: সংগৃহীত।

বিস্ফোরণের ঠিক এক ঘণ্টা আগে বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরক রেখে এসেছিলেন দিঘা থেকে ধৃত মুসাভির। যেখানে ক্যাফের বাসন ধোয়া হয়, সেখানেই রেখেছিলেন বোমা। এক ঘণ্টা পর, দুপুরের ব্যস্ত সময়ে বিস্ফোরণ হয় সেখানে। শুক্রবার নগর দায়রা আদালতে এমনটাই দাবি করল এনআইএ।

Advertisement

শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণে দুই অভিযুক্ত মুসাফির হুসেন শাজ়িব এবং আবদুল মাতিন আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কলকাতার নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারকের এজলাসে হাজির করানো হয়েছে। এনআইএ দুই ধৃতকে তিন দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন করেছে। এই তদন্তের নেতৃত্বে রয়েছেন যে এসপি, তিনিও শুক্রবার উপস্থিত ছিলেন আদালতে। এনআইএ কোর্টে দাবি করেছে, ফোনকল, বৈদ্যুতিন যন্ত্রের থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে মুসাভির এবং আবদুলের খোঁজ শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দিঘা থেকে গ্রেফতার দু’জন। ধৃতদের থেকে বৈদ্যুতিন যন্ত্র, ডায়েরি, লিফলেট উদ্ধার করেছে।

তদন্তেই এনআইএ জানতে পেরেছে, বিস্ফোরণের এক ঘণ্টা আগে ক্যাফেতে বাসন মাজার জায়গায় বোমা রেখে এসেছিলেন মুসাভির। এনআইএর দাবি, বিস্ফোরণের মূল ষড়যন্ত্রী হলেন আবদুল। গোটা বিষয়টি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজ-সহ একাধিক প্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে মিলেছে। এনআইএ আরও জানিয়েছে, একাধিক মামলায় অভিযুক্ত আবদুল। ২০১৯ সাল থেকে তিনি পলাতক।

Advertisement

গত ১ মার্চ রামেশ্বরম ক্যাফেতে ঢুকে বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে আসেন এক ব্যক্তি। তাতে টাইমার সেট করা ছিল। এক ঘণ্টা পর হয় বিস্ফোরণ। তাতে ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরকের শক্তি খুব বেশি না থাকায় অভিঘাত তেমন জোরালো হয়নি। ৩ মার্চ ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফ। ২৭ দিন পর সেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে খুঁজতে কর্নাটকের ১২টি এলাকা, তামিলনাড়ুর পাঁচটি এলাকা এবং উত্তরপ্রদেশের এক জায়গায় তল্লাশি চালান এনআইএর আধিকারিকেরা। বাকি দুই অভিযুক্তের সন্ধান মিলছিল না।

এনআইএ তাঁদের খোঁজ পেতে আর্থিক পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছিল। বিজ্ঞপ্তি জারি করে তারা জানিয়েছিল, দুই সন্দেহভাজনের বিষয়ে পুলিশকে হদিস দিতে পারলেই মিলবে ২০ লক্ষ টাকার পুরস্কার। এএনআই সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের ঘটনার পরে দুই সন্দেহভাজন পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। সেখানেই লুকিয়ে ছিলেন তাঁরা। এনআইএর একটি দল তাঁদের গোপন আস্তানার খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জানানো হয়, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দুই চক্রীকে। এনআইএর সঙ্গে ছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একটি দলও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement