রাজ্যে প্রায় ৭ লক্ষ ট্রাকের চাকা স্তব্ধ। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশি জুলুম-সহ ৬ দফা দাবিতে আজ সোমবার থেকে ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন। তার জেরে রাজ্যে প্রায় ৭ লক্ষ ট্রাকের চাকা স্তব্ধ। রাজ্যে অনির্দিষ্ট কালের ট্রাক ধর্মঘটে ভোগান্তির আশঙ্কা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ধর্মঘট না উঠলে শিল্প ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
এ দিন সকাল থেকেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভিন্ রাজ্য থেকে আস ট্রাকগুলি। মাছ থেকে শুরু করে ফল-সব্জির ট্রাক রাস্তায় আটকে রয়েছে। ধর্মঘট না উঠলে, তা পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অভিযোগ উঠছে, যাঁরা ট্রাক চালানোর চেষ্টা করছেন তাঁদের জোর করে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্সের সদস্যরা। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ওই সংগঠনের তরফে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রে দেখা মিলল ইলিশের, খুশি মৎস্যজীবীরা
বিচারকের ভূমিকায় ফের রূপান্তরকামী
রাস্তায় বসে অবরোধে শামিল ট্রাক চালকরা। —নিজস্ব চিত্র।
বিভিন্ন রাজ্য এবং জাতীয় সড়কের পাশে সংগঠনের সদস্যরা কোথাও কোথাও মঞ্চ তৈরি করেছেন। ট্রাক ধর্মঘটের জেরে শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে মালদহ, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জেলায় ভোগান্তির ছবি ফুটে উঠেছে। ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স-এর যুগ্ম সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অন্যান্য রাজ্যের ট্রাক মালিকেরা পণ্য পরিবহণে যে সব সুবিধা পান, আমার তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পুলিশি জুলুম চলছে। রাস্তায় ট্রাক চালকদের কাছ থেকে তোলা চাইছেন পুলিশকর্মীরা। এমনকি সিভিক ভলান্টিয়াররাও টাকা দাবি করছেন। এই পরিস্থিতিতে ট্রাক চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বাধ্য হয়েই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।”