সেপ্টেম্বরে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, স্বাস্থ্য সাথী বিমা প্রকল্পের আওতায় স্কুলশিক্ষকদেরও আনা হচ্ছে। কিন্তু ওই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে সমানে। তাঁদের হয়রানির মূলে আছে নতুন নির্দেশ।
প্রথমে নির্দেশ ছিল, স্বাস্থ্য সাথী বিমা প্রকল্পে নাম নথিভুক্তির জন্য স্কুলেই যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সেখান থেকে নথিপত্র যাবে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে। তার পরে পর্যায়ক্রমে পরবর্তী ধাপগুলি পেরোবে। ইচ্ছুক শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেই নির্দেশিকা মেনেই আবেদন করছিলেন। কিন্তু নতুন একটি নির্দেশ আসায় তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শিক্ষা সূত্রের খবর, বিকাশ ভবনের নতুন নির্দেশে বলা হয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেখানে থাকেন, ওই প্রকল্পে নাম তোলার জন্য আবেদন করতে হবে সেখানকার পুরসভা, বিডিও-দের কাছে। কলকাতার ক্ষেত্রে কলকাতা জেলা স্কুল পরিদর্শক বা পুরসভার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল শুক্রবার অভিযোগ করেন, এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত খুব বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা আবেদন করেননি। যাঁরা করেননি, তাঁদের মধ্যে বিরোধী শিবিরের শিক্ষকই বেশি। এর পরে নাম নথিভুক্ত করার জন্য এমন ভোগান্তি পোহাতে হলে অনেকেই আর উৎসাহ পাবেন না।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আবেদনকারী দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত সপরিবার বিমার সুবিধা পাবেন। কঠিন অসুখ এবং অস্ত্রোপচারের জন্য মিলবে সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও এই প্রকল্পে আনার কথা। কলেজের পরিচালন সমিতি শিক্ষকদের নাম অনুমোদন করলে সরাসরি তা উচ্চশিক্ষা দফতরে জমা দিতে হবে।