হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ। কলকাতায়। —নিজস্ব চিত্র।
হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে ও পুনর্বাসনের দাবিতে মিছিল এবং কলকাতা পুরসভার সামনে সমাবেশ করল বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ‘হকার যৌথ মঞ্চ’। পরে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে দাবিপত্রও জমা দিয়েছেন মঞ্চের নেতৃত্ব। মেয়র অবশ্য উচ্ছেদের অভিযোগে আমল দেননি।
সরকারি জমি ও রাস্তা জবরদখল থেকে মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে হকার ‘উচ্ছেদ’ শুরু হয়েছিল। এরই প্রতিবাদে যৌথ মঞ্চের ডাকে বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির কাছে জমায়েত করে পুরসভা অভিযান হয়। কর্মসূচিতে সিটু, এআইটিইউসি, টিইউসিসি, ইউটিইউসি, এআইইউটিইউসি, এআইসিসিটিইউ, আইএনটিইউসি অনুমোদিত হকার সংগঠনগুলি যোগ দিয়েছিল। সমাবেশে সভাপতিত্ব করে দেবাশিস দে বলেছেন, “উত্তরপ্রদেশে যোগীর বুলডোজ়ার বাংলায় চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা যাবে না।” মোবাইল-বার্তায় সিপিএমের আইনজীবী সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “এখন বড় ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা পাচ্ছে, তৃণমূল তাই হকার তুলে দিতে চাইছে।” সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু-সহ শ্রমিক নেতৃত্ব দ্রুত হকার উচ্ছেদের পরিকল্পনা বাতিল ও ২০১৪-র কেন্দ্রীয় হকার আইন চালু করার দাবি জানিয়েছেন। মেয়রের কাছে প্রত্যেক হকারকে লাইসেন্স ও উপযুক্ত পরিচয়পত্র দেওয়া, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে হকার মার্কেট তৈরি, টাউন ভেন্ডিং কমিটিতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হকার ইউনিয়নের প্রতিনিধি রাখার মতো নানা দাবি জানানো হয়েছে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ অবশ্য বলেছেন, “এ সব ঘোলা জলে মাছ ধরা! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকারদের সঙ্গে রয়েছেন। আলাদা করে বৈঠকও করেছেন। তাঁর নির্দেশে কোথাও হকার উচ্ছেদ হয়নি। হকারদের নিয়মানুবর্তী করা হয়েছে।”