জাতীয় সড়কে চলবে না টোটো, সিদ্ধান্ত পরিবহণ দফতরের। — ফাইল চিত্র।
জাতীয় সড়কে চালানো যাবে না টোটো। এমনই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর। গ্রাম এবং মফস্সল এলাকায় গত কয়েক বছরে বাড়বাড়ন্ত হয়েছে এই ছোট যানের। কিন্তু আইনে এখনও টোটোকে সে ভাবে পরিবহণ দফতরের আওতায় আনা যায়নি। তাই জেলায় জেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে টোটো স্ট্যান্ড। যাত্রী পেতে প্রয়োজনে টোটোগুলি বহু সময়তেই জাতীয় সড়কে চলে আসছে। ফলে জাতীয় সড়কে ঘটে যাচ্ছে বহু দুর্ঘটনা। সেই দুর্ঘটনায় রাশ টানতে চাইছে প্রশাসন। সেই কারণেই জাতীয় সড়কে টোটো চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের থেকে অভিযোগ পেয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় সড়কে টোটোর কারণে দুর্ঘটনার খবর পেয়েছেন জেলাস্তরের পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরাও। তাই সম্প্রতি এই সংক্রান্ত বিষয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে দফতর। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘টোটোগুলির জন্য জাতীয় সড়কে যান চলাচলের অসুবিধা হচ্ছিল বলে আগেই অভিযোগ এসেছিল। তার পর টোটোর কারণে দুর্ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এ বার জাতীয় সড়কে টোটো চালানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, কোনও জেলার কোন এলাকায় কত সংখ্যায় টোটো চলছে এর নির্দিষ্ট কোনও হিসাব নেই পরিবহণ দফতরের কাছে। কারণ এই টোটো তৈরি হয় জেলার বিভিন্ন লেদের কারখানায়। অল্প খরচে যে কোনও ব্যক্তি এই টোটো তৈরি করিয়ে সহজেই তা গ্রামীণ রাস্তায় চালিয়ে জীবিকানির্বাহ করতে পারেন। কিন্তু এই কারণে যাতে জাতীয় সড়ক কোনওভাবেই বিপর্যস্ত না হয়, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে শুরু করেছে পরিবহণ দফতর। জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়া টোটোগুলি চিহ্নিত করে ব্যবস্থাও নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিত আয়ত্তে আসেনি বলে জানাচ্ছেন পরিবহণ দফতরের এক কর্তা। তাই শেষমেষ মন্ত্রী এবং দফতরের আধিকারিকেরা জাতীয় সড়কে টোটো না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরিবহণ দফতরের আধিকারিকের কথায়, ‘‘এটা ঠিক যে টোটো চালু হওয়ায় গ্রামীণ ক্ষেত্রে মানুষ পরিবহণ পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু তাতে যেন কোনও ভাবে অন্য দিকে প্রভাব না পড়ে, তা দেখা আমাদের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’