আজ আবার পরীক্ষা লালবাজারের, বিজেপিরও

পিঠোপিঠি দু’টি আইন অমান্য। বিরোধী পরিসরে তা ঘিরেই প্রশ্ন, বাম বড় না বিজেপি! সেই আবহেই আজ, বৃহস্পতিবার লালবাজার অভিযানে নামছে গেরুয়া শিবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৭ ০৩:৫২
Share:

পিঠোপিঠি দু’টি আইন অমান্য। বিরোধী পরিসরে তা ঘিরেই প্রশ্ন, বাম বড় না বিজেপি! সেই আবহেই আজ, বৃহস্পতিবার লালবাজার অভিযানে নামছে গেরুয়া শিবির।

Advertisement

তৈরি পুলিশও। গত সোমবার বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মহিলা-বয়স্কদের উপরও নির্বিচারে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করেছিল কলকাতা পুলিশ। বাদ যাননি সাংবাদিকেরাও।

অভিযানের নিশানা যে হেতু তাদেরই সদর, বিজেপিকে ঠেকানোর দায় কলকাতা পুলিশের অনেক বেশি। বামেদের অভিযানের দিন ব্যারিকেডের বাধা টপকেও বিধায়করা নবান্নের দরজায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। তা নিয়ে পুলিশের মুখও পুড়েছে। আজ, যাতে কোনও ভাবেই বিজেপি কর্মীরা ধারে কাছে ঘেঁষতে না পারেন, সে জন্য লালবাজারকে কার্যত দুর্গে পরিণত করা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজার ঢোকার মূল চারটি বড় রাস্তা সকাল থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হবে। টি-বোর্ড, বি বি গাঙ্গুলি-ফিয়ার্স লেন সংযোগস্থল, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট-ওয়াটারলু স্ট্রিটের সংযোগস্থল এবং গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ এর দিক থেকে কোনও মিছিলই এগোতে দেওয়া হবে না। বড় অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড, জল কামান, গ্যাস এবং লাঠিধারী প্রায় ৩০০০ পুলিশ আজ রাস্তায় নামবে। লালবাজার ঢোকার ১৯টি গলিতেও শালবল্লার বেড়া দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বিজেপির লক্ষ্য আজ লালবাজার

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মিছিল শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নির্ভর করবে পুলিশের উপর। ভিড় সামলানোর যোগ্যতা যদি পুলিশের না থাকে, তা হলে যা হবে তার দায় পুলিশকেই নিতে হবে।’’ তা হলে কি মারমুখী হবে বিজেপি কর্মীরা? দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘হিংসাত্মক জঙ্গি আন্দোলন সিপিএমের ঐতিহ্য। আমাদের মিছিল হবে শান্তিপূর্ণ।’’ তবে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কথায়, ‘‘পুলিশ মারলে আমরা মালা ছুঁড়ব না।’’

পুলিশও অবশ্য তৈরি হয়েই থাকবে। বুধবার লালবাজারে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার সতর্ক করে দিয়েছেন অফিসারদের। তাঁর বার্তা হল, বৃহস্পতিবার বিজেপির আন্দোলনে যাতে বামেদের নবান্ন অভিযানের পুনরাবৃত্তি না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তবে কোনও অবস্থাতেই বিক্ষোভকারীদের গুণ্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। পেশার তাগিদে পথে নামা সাংবাদিকদেরও সোমবার পুলিশ মেরেছিল। কমিশনার বলেছেন, পুলিশ ও সাংবাদিক দু’পক্ষই পেশার তাগিদে রাস্তায় নামে। একের জন্য অন্যকে যেন সমস্যায় পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement