তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রেস বিবৃতি। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আর ঢুকতে পারবেন না এসএসকেএম হাসপাতালের পিজিটি অভীক দে। তাঁকে সংগঠন থেকেও বরখাস্ত করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সোমবার রাতে দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, যত দিন পর্যন্ত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত বরখাস্তই থাকবেন অভীক।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভীককে বরখাস্ত করছে দল। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদম্ত শেষ হওয়ার পরেই তাঁকে নিয়ে পরবর্তী নির্দেশ জানানো হবে। দলের তরফে ওই প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেছেন রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য।
সোমবার দুপুর থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ কাউন্সিলের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক চলে জুনিয়র ডাক্তারদের। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী মুখার্জি, হাসপাতালের সুপার তাপস কুমার ঘোষ। ঘন্টা ছয়েক টানা বৈঠকের পর কিছু ক্ষণ আগেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়েছে কাউন্সিলও। জানানো হয়েছে, অভীক দে আর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ঢুকতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্তে খুশি আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার সুহোত্র মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভীকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দফতরেও অভিযোগ করা হবে। আন্দোলনকারী আর এক চিকিৎসক গৌরাঙ্গ প্রামাণিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘অভীক-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কাউন্সিল জানিয়েছে, তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন সপ্তাহের মধ্যে সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এত দিন ঘুমিয়ে ছিল। সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হতেই টনক নড়েছে!’’
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের পরে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতিতে বার বার উঠে এসেছে ‘বর্ধমান শাখা’র নাম। অভিযোগ, এই সিন্ডিকেটের মাথায় ছিলেন এসএসকেএমের চিকিৎসক-পড়ুয়া অভীক দে। চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরে আর জি করের সেমিনার রুমে তাঁর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল নানা মহলে। এমনকি, অভীকের পিজিটি পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল একাধিক চিকিৎসক সংগঠন। অভীক ছাড়াও বর্ধমান মেডিক্যালের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস-সহ আরও কয়েক জনের নামে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেছিলেন চিকিৎসক-পড়ুয়ারা।