মহিলাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী কী কাজ করেছে, তা বোঝাতে এ বার গ্রাম বাংলায় বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করল তৃণমূল। কেন্দ্রের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পঢ়াও’, ‘উজ্জ্বলা যোজনা’ প্রভৃতি নিয়ে বিজেপি যে প্রচার কৌশল নিয়েছে, তৃণমূলের উদ্যোগ তারই জবাব বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
পঞ্চায়েত ভোটে জেতা দলের মহিলা প্রতিনিধিদের নিয়ে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের কর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছেন গ্রাম-গঞ্জের পাড়ায় পাড়ায়। পুকুরপাড়ে, উঠোনে উঠোনে। স্কুলপড়ুয়া থেকে গাঁয়ের বধূ, বয়স্ক মহিলাদের সামনে তুলে ধরছেন মহিলাদের জন্য কেন্দ্র আর রাজ্যের প্রকল্পের ফারাক। তথ্য দিয়ে বোঝাচ্ছেন, কোন প্রকল্পে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন মহিলারা। বোঝাচ্ছেন, পঞ্চায়েত ভোটে মহিলাদের জন্য ৫০% সংরক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীই করেছেন। এ রাজ্যে আর্থিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মহিলাদের শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতাই ‘অগ্রাধিকার’ দিচ্ছেন।
তৃণমূল কর্মীরা এ রাজ্যের কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী প্রকল্পের হালহকিকৎ জানাচ্ছেন মহিলাদের। বোঝাচ্ছেন কেন্দ্রীয় ‘বেটি বাঁচাও বেটি পঢ়াও’ প্রকল্পে গোটা দেশের জন্য ১০০কোটি টাকা বরাদ্দ। আর শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে কন্যাশ্রী প্রকল্পে এ বছর ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কী ভাবে এই ধরনের প্রকল্পগুলির খতিয়ান গ্রামের মহিলাদের কাছে পেশ করতে হবে, তা সংগঠনের কর্মীদের বোঝাচ্ছেন মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: ডিজিটালেও নকল করছে তৃণমূল, কটাক্ষ কংগ্রেসের
চন্দ্রিমাদেবী বলেন, ‘‘১২৫কোটি মানুষের ভারতে মাত্র ১০০ কোটি টাকায় যে সব মেয়ের সুরাহা হয় না, সেটাই বোঝানো হচ্ছে। কেন্দ্রের প্রকল্প যে ভাঁওতা, তা মেয়েরা বুঝতে পারছে। উল্টোদিকে, এ রাজ্যে প্রায় ৬০লক্ষ মেয়ে যে এখন কন্যাশ্রীর আওতায়, তাও বলা হচ্ছে মেয়েদের। সবুজ সাথী, সবুজশ্রীর উপকার মেয়েরা নিজেরাই স্বীকার করছে।’’ স্কুল পেরিয়ে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও যে আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন এবং মেয়েদের বিয়ের জন্য রূপশ্রী প্রকল্পের কথাও প্রচার করছে তারা।
আরও পড়ুন: বোর্ড গঠনের তিন ঘন্টার মধ্যেই পদত্যাগ ৫ তৃণমূল সদস্যের
অন্যদিকে, দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মহিলাদের জন্য ‘উজ্জ্বলা যোজনা’য় গ্যাস সিলিন্ডার কেনার জন্য ভর্তুকি দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। কিন্তু সেই প্রকল্পে মহিলারা কোনও সুবিধা পান না বলেই তৃণমূলের অভিযোগ।
রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূল আসলে ভাঁওতা দিচ্ছে। কেন্দ্রের প্রকল্প সব রাজ্যেই পৌঁছচ্ছে। এ রাজ্যে তো তৃণমূলই কেন্দ্রের প্রকল্পগুলি মানুষের কাছে পৌঁছতে দেয় না। বিডিও অফিসে গেলে আগে দেখা হয় তৃণমূল কি না।’’