মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।
সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাবে সমর্থন চেয়ে বিরোধীদের সঙ্গে কথা শুরু করল তৃণমূল। আগামী ২৭ জানুয়ারি এই দাবিতে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে চলেছে সরকারপক্ষ। তার আগে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের সঙ্গে কথা বলেছেন পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কেরল ও পঞ্জাবের পরে রাজ্য বিধানসভায়ও নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ করতে চাইছে শাসকদল। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়ে পরিষদীয়মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ‘বহুত্ববাদের যে স্বীকৃতি সংবিধানে রয়েছে, এই আইন তার পরিপন্থী। ফলে এই প্রস্তাব পাশের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে মিলিতভাবে বার্তা দিতে চাইছি।’’
পার্থবাবু বলেন, ‘‘বিরোধীরা কিছু প্রশ্ন তুলছেন। তাঁরা বলছেন, গত ৯ তারিখে আলোচনা চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সরকারপক্ষের তরফেও আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু ওই দিন আলাদা বিষয় নির্ধারিত থাকায় এই আলোচনা করা যায়নি।’’
আরও পড়ুন: সিএএ বাতিল করুন, সুপ্রিম কোর্টে চিঠি নাখোদা-সদস্যের
প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংস নেওয়ার কথা জানিয়েছে কংগ্রেস ও বামেরা। প্রস্তাবের বিষয় নিয়ে নীতিগত আপত্তি না থাকলেও পরিষদীয়মন্ত্রীর এই আবেদন নিয়ে সরকারপক্ষকে কটাক্ষই করেছে তারা। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘অনেক আগেই এ কাজ করা উচিত ছিল। বাম ও কংগ্রেস প্রস্তাব দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন রাজি হননি। দেরিতে হলেও প্রস্তাব আসছে সেটাই ভাল।’’ সুজন বলেন, ‘‘পরিষদীয়মন্ত্রী অসত্য বলছেন। আমরা গত ৭ তারিখে এই আলোচনা চেয়ে প্রস্তাব জমা করেছিলাম। সরকারপক্ষ কোনও প্রস্তাব দেখাতে পারেননি। পিছনে পড়ে বেঞ্চে বসেছিলেন। অন্য রাজ্যগুলি প্রস্তাব পাশ করে ফেলেছে দেখে এখন লাফিয়ে সামনে আসতে চাইছেন।’’
আরও পড়ুন: পরোয়া নেই হাজার প্রতিবাদেও, সিএএ ফেরাব না, সাফ কথা শাহের