তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ ।
আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীর হাতে কনস্টেবলের কামড়ের ঘটনা পুলিশবাহিনীর ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করেছে! আন্দোলনকারীকে পুলিশের কামড় বিতর্কে এমনই অভিমত জানালেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। ওই বিষয়ে পুলিশের তদন্ত করে দেখা উচিত বলেও তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতার মন্তব্য।
আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালকে মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের কামড়ের ঘটনায় এই মুহূর্তে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরাও। বুধবার বিক্ষোভের দিন অরুণিমা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর হাতে কামড়ে দিয়েছেন এক মহিলা পুলিশকর্মী। পুলিশ অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেনি। উল্টে তারা পাল্টা দাবি করেছে, অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকর্মীর হাতেও কামড়ানো হয়েছে। তবে অরুণিমার হাতে পুলিশের মোক্ষম কামড়ের ছবি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।
সৌগতের কথায়, ‘‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। না হলেই ভাল হত। আসলে কী হয়েছে, তা নিয়ে সংশয় আছে। চাকরিপ্রার্থী বলছেন, তাঁকে ওই পুলিশ কনস্টেবল কামড়েছেন। পুলিশ বলছে, ওই পুলিশকর্মীকেই আগে কামড়ানো হয়েছে। পুলিশ কিন্তু ওই দিন লাঠিচার্জ করেনি বা কাঁদানে গ্যাস ছোড়েনি। এমনিতে পুলিশ ওই দিন অনেক সংযম দেখিয়েছিল। কিন্তু কামড়ের ঘটনায় পুলিশবাহিনী একটু কলঙ্কিত হল। নিশ্চয়ই পুলিশ এই নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করবে।’’
সৌগত মনে করেন, ওই দিন চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তা অবরোধ করার ঘটনায় পুলিশ পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে কিছু করতেই হত। যদি কেউ রাস্তা বা অফিস অবরোধ করে, তা হলে পুলিশকে কিছু করতেই হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে সংযত থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা যে ভাবে রাস্তা আটকে বসেছিলেন, তাতে পুলিশি হস্তক্ষেপ করতেই হত। কিন্তু পাশাপাশিই পুলিশের সংযতও থাকা উচিত। কিন্তু যখন এ রকম একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, তখন পুলিশ তদন্ত করে দেখুক!’’
সৌগত পুলিশের গৌরব ‘কালিমালিপ্ত’ করার কথা বললেও এই বিষয়ে সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের অন্য এক বিধায়ক। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতির কথায়, ‘‘পুলিশকে কামড়ালে কি পুলিশ রসগোল্লা খাওয়াবে?’’