ফাইল চিত্র।
কিছু দিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসে দলের কাজে নেমে পড়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক তাঁকে ত্রিপুরায় পাঠিয়েছেন। কিন্তু এখানে রাজীবকে ফেরানো নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভের তোপ চলছেই। হাওড়ার দলীয় সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার মন্তব্য করেছেন, তৃণমূলে ফিরলেও হাওড়ায় ঢুকতে দেওয়া হবে না রাজীবকে!
ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে এ দিন বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করেছিল হাওড়া জেলা তৃণমূল। তবে পুর-নির্বাচনের আগে তা কার্যত তৃণমূলের কর্মিসভার চেহারাই নিয়েছিল। সেখানে দলের জেলা সভাপতি কল্যাণ ঘোষের উপস্থিতিতেই রাজীবের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন প্রসূন। ডোমজুড়ে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে রাজীবকে হারিয়ে এ বার তৃণমূলের বিধায়কও হয়েছেন কল্যাণ। সাংসদ প্রসূন সেখানে বলেন, ‘‘কিছু লোক আছে, যারা ঠিক নির্বাচনের আগে দল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই সব লোক হাওড়ায় ঢুকতে পারবে না। হাওড়ায় ঢুকতে দেব না। যত বড়ই মাতব্বর হও!’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘তারা ভেবেছিল, দিদি হেরে যাবে। তাই প্লেনে উড়ে গেল। আবার হেরে গিয়ে ফিরে এসে দিদির ছবি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে! কোনও কারণেই আমি মানতে পারব না।’’
রাজীবের প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রকাশ্যে নিজের আপত্তির কথা জানিয়ে কড়া মন্তব্য করেছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর আরও খানিকটা চড়িয়ে হাওড়ার সাংসদ এ দিন বলেন, ‘‘প্রয়োজনে পদত্যাগ করে মমতাদি’র পায়ের সামনে হাঁটু মুড়ে বসে থাকব। তবু ওকে মানতে পারব না!’’
প্রসূনের এই অবস্থান প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘ভোটের মুখে যাঁরা দল ছেড়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা তো সত্যিই অন্যায় করেছিলেন। আর যাঁরা দলের সেই লড়াইয়ে ছিলেন, তাঁদের ক্ষোভ স্বাভাবিক। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের উপরে আমাদের সকলকে আস্থা রাখতে হবে। তাঁরা কর্মীদের এই আবেগের গুরুত্ব বোঝেন। মযার্দা দেন।’’