—ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি নিয়ে আবার দিল্লি পুলিশকে চিঠি দিল তৃণমূল। ধর্না কর্মসূচি উপলক্ষে রামলীলা ময়দানে প্রায় ৫০ হাজার জনের থাকার বন্দোবস্ত করতে চেয়ে শুক্রবার দিল্লি পুলিশকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। দরিয়াগঞ্জ থানার ডিসিপিকে চিঠি দিয়েছেন ডেরেক।
গত ৩০ এবং ৩১ অগস্টের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে ডেরেক লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মনরেগা (১০০ দিনের কাজের প্রকল্প)-র কর্মীরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ধর্না কর্মসূচি করবেন। সেই উপলক্ষে রামলীলা ময়দানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে চায় তৃণমূল।’’ এই বন্দোবস্ত করতে দিল্লি পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছে বাংলার শাসকদল। একই সঙ্গে ডেরেক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, এই নিয়ে আগের চিঠিরও কোনও জবাব মেলেনি।
তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে ২১ জুলাই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ২ অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীতে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা-সহ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লির রাজপথে সরব হবেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কর্মসূচিতে যোগদানের কথা বলেন।
এর আগে দিল্লির রামলীলা ময়দানে অবস্থান-বিক্ষোভের পরিকল্পনা ছিল তৃণমূলের। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘২ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্না হবে, এই ছিল আমাদের কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিকে সামনে রেখেই আমাদের তরফ থেকে নিয়মমাফিক একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল দিল্লি পুলিশের কাছে। যেখানে বলা হয়েছিল, ২ অক্টোবর আমাদের মূল কর্মসূচি। বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত রামলীলা ময়দান পাওয়ার আবেদন করেছিলাম।’’ এই নিয়ে এর আগেও দিল্লি পুলিশকে চিঠি লিখেছিলেন ডেরেক। সে বার চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে (মনরেগা) কেন্দ্রীয় অর্থসাহায্য না দেওয়ার প্রতিবাদে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর যন্তর মন্তরের সামনে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধর্নায় বসতে চান। গত ৩১ অগস্ট এ বিষয়ে আপনাকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আপনার তরফে কোনও উত্তর না পেয়ে আবার চিঠি লিখছি। অনুরোধ করছি দ্রুত উত্তর দেওয়ার।’’