রুদ্রনগর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রতিষেধক নিচ্ছেন সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা। সোমবার। ছবি: দিলীপ নস্কর
প্রথম দিন টিকা নিতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন একাধিক বিধায়ক। সেই প্রেক্ষিতেই বেশ কিছু জেলায় নির্দেশ গিয়েছে যাতে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে টিকাপ্রাপকের তালিকায় রাখা না হয়। তার মধ্যেও সোমবার প্রতিষেধক নিলেন সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা। এ দিন সকালে সাগরের রুদ্রনগর গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বঙ্কিমবাবু বলেন, ‘‘আমি গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তাই আমি টিকা পেতেই পারি।’’ ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায়েরও যুক্তি, ‘‘বঙ্কিমবাবু জনপ্রতিনিধি, তাই টিকা নিতেই পারেন।’’
এর মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের টিকা নেওয়া নিয়ে সরব শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি ‘হ্যাশট্যাগ টিকা চোর টিএমসি’ দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন। টুইট করে অভিযোগ করেন, ‘করোনা টিকাকরণেও তৃণমূলের দুর্নীতি। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম দফার করোনা ভ্যাকসিন বরাদ্দ প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। তা হলে কাঁথি-১ পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান প্রদীপ গায়েন ভ্যাকসিন পান কী ভাবে?’ প্রদীপ বলেন, ‘‘জোর করে টিকা নিইনি। তালিকায় আমার নাম ছিল।’’ কিন্তু, কী ভাবে তাঁর নাম উঠল? নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রতকুমার রায় বলেন, ‘‘কী ভাবে এটা হল, জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
একই ভাবে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখর রায়ও এ দিন টিকা নেন। তাঁর যুক্তি, ব্লক স্বাস্থ্য সমিতির চেয়ারম্যান। বস্তুত, হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বা সদস্য— এই যুক্তিতে প্রথম দিনই অনেক জনপ্রতিনিধি টিকা নিয়েছেন। তার পরেই জেলায় জেলায় নির্দেশ গিয়েছে তাঁদের তালিকা থেকে বাদ রাখার জন্য। এমনটা ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের মতো জেলায়।
এর মধ্যে পাহাড়ের নেতা, আমলাদের অনেকে প্রতিষেধক নিতে স্বাস্থ্যকর্তাদের উপর চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। তবে পুলিশে এখনই কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি।