মানিক ভট্টাচার্য। —ফাইল ছবি।
প্রায় দু’বছর জেলবন্দি থাকার পর শুক্রবার রাতে ছাড়া পেয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। মুক্তি পেয়ে সোমবার প্রথম বারের জন্য বিধানসভায় এলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দীর্ঘ ক্ষণ কথা হয় দু'জনের মধ্যে। সূত্রের খবর, মানিককে দ্রুত বিধানসভার কাজকর্মে যোগদান করতে বলেন স্পিকার। কারাবাসে খানিক ওজন কমে গিয়েছে পেশায় অধ্যাপক মানিকের। তবে শারিরীক ভাবে সুস্থই আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার বিধানসভায় এলেও কোনও সতীর্থর সঙ্গে দেখা হয়নি। মানিক বলেন, ‘‘আমার কিছু কাজকর্ম বাকি ছিল, সেই সব সারতে এসেছিলাম। পলাশিপাড়াই আমার কাছে অগ্রাধিকার পাবে। শুক্রবার ছাড়া পেয়ে প্রথমেই সেখানে গিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার অনুপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটে হরনগর এলাকায় তৃণমূল কর্মী জাহিদুল শেখ খুন হন। শনিবার তাঁর বাড়ি গিয়েছিলাম। নিহতের বিধবা স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছেন। আমি তাঁদের পাশে থাকতে চাই।’’
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে জামিন পান মানিক। তবে হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ চারটি শর্ত বেঁধে দিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিককে হাই কোর্টের নির্দেশ, তদন্তকারী অফিসারকে মোবাইল নম্বর দিতে হবে। নিম্ন আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ বা যোগাযোগ করার চেষ্টা করা যাবে না। কোনও সাক্ষীর উপরে প্রভাব খাটানো বা হুমকি দেওয়া যাবে না। এ ছাড়াও তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি ছাড়া বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না মানিক। তাই আপাতত কলকাতা এবং পলাশিপাড়ার মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান তিনি। জেল-জীবন নিয়ে প্রশ্ন শুনে মানিকের জবাব, ‘‘আমার উপর দিয়ে যা হয়েছে তা আমি ও আমার পরিবার সহ্য করেছি। এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’’
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর মানিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি। দীর্ঘ দিন প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন মানিক। গ্রেফতারির ২৩ মাস পরে জামিন পেয়েছেন। বিধানসভার উচ্চশিক্ষা এবং আরও একটি কমিটির সদস্য মানিক। আগামী সপ্তাহ থেকেই সেই সব কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।