মদন মিত্র, দেব এবং ফিরহাদ হাকিম (বাঁ দিক থেকে) —ফাইল চিত্র।
পুরসভায় নিয়োগ মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই অভিযান নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এসে সাংসদের মন্তব্য, ‘‘কেউ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে অবশ্যই শাস্তি পাক।’’ যদিও সিবিআইয়ের এই অভিযান ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। দেব জানান, প্রায় রোজ দিন বিরোধীদলের নেতাদের এই রকম হানা দুঃখজনক। এগুলো দেশের ভবিষ্যতের জন্য খারাপ।
রবিবার পুর-নিয়োগ মামলায় জায়গায় জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। প্রথমে ফিরহাদের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের যাওয়ার খবর মেলে। তার পর একে একে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুর এবং দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে সিবিআই অভিযান হয়। উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়াতেও যায় সিবিআই। হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায় এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদমা রায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআইয়ের পৃথক পৃথক দল যায় দমদম পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিংহ এবং নিউ ব্যারাকপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃপ্তি মজুমদারের বাড়িতে। সব মিলিয়ে অন্তত ১২টি জায়গায় সিবিআই হানা হয় রবিবার। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতেই চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই তারা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।
অন্য দিকে, রবিবার ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে আসেন ওই এলাকার সাংসদ দেব। আজবনগর এলাকায় গিয়ে মানুষজনের খোঁজ নেন। ঘুরে দেখেন এলাকা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় গার্লস স্কুলের বিপর্যস্ত ভবনও দেখতে যান তিনি। ঘাটাল পুরসভার আড়গোড়া চাতাল এলাকায় ডুবে যাওয়া রাজ্যসড়কেও যান দেব। সেখানে বন্যার্তদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, যে যার মতো কাজ করবে। ববিদা দক্ষ এক জন মানুষ। তিনি নিজেকে প্রমাণ করবেন। যদি রাজনৈতিক উদ্দেশে এই অভিযান হয়, সেটা খারাপ।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘চির দিন কারও কাছে ক্ষমতা থাকবে না। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হলে, এখন যারা বিরোধী, শাসক হয়েও তারাও একই কাজ করবে।’’