—ফাইল চিত্র।
মন্ত্রী এবং বিধায়কের দ্বন্দ্ব রাস্তায় নেমেছিল কয়েক দিন আগেই। এ বার তা শালীনতার মাত্রা ছাড়াল। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তৃণমূল বিধায়ক প্রকাশ্যে ‘লম্পট, অসভ্য, বদমায়েশ, শয়তান’ ইত্যাদি বিশেষণ দিলেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বিষয়টিকে দল কি শৃঙ্খলাভঙ্গ বলে মনে করে? তৃণমূলের মহাসচিব ও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘এ নিয়ে কিছুই বলব না।’’
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই দলের প্রবীণ ও পুরনো কর্মী-নেতাদের যোগ্য সম্মান দেওয়ার কথা বলেন। তা সত্ত্বেও বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল প্রবীণ মন্ত্রী তথা মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডে সম্পর্কে এমন মন্তব্য করায় দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। কাঁকুড়গাছি এলাকায় ফুটপাতের কিছুটা অংশে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে সাধন-পরেশের বিবাদের সূত্রপাত বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। তবে প্রকাশ্যে প্রচারমাধ্যমে দলের এক প্রবীণ নেতা সম্পর্কে অশোভন উক্তি শৃঙ্খলাভঙ্গ বলে মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে তা স্পষ্ট জানা যায়নি। এমনকী, উত্তর কলকাতায় দলের সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এ সম্পর্কে সরাসরি কিছু না বলে বিষয়টি দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির উপরে ছেড়ে দেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি আমার মতামত চাইলে তখন যা বলার বলব।’’ ফোন বন্ধ পরেশবাবুরও।
অন্য দিকে, সাধনবাবু মুখে এ নিয়ে পাল্টা কোনও কটূ কথা না বলে মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন হবেন বলে জানিয়েছেন। তবে তাঁর সমর্থকেরা মঙ্গলবার বিকেলে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল নিয়ে বাগমারির কাছে পথ অবরোধ করে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ান। দলীয় বিবাদের জেরে সাধারণ মানুষ কেন নাজেহাল হবেন, সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্যও তৃণমূলের কোনও নেতাকে পাওয়া যায়নি। সাধনবাবুর অবশ্য দাবি, তিনি বিক্ষোভের জন্য কোনও লোক পাঠাননি।