তমলুকে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং জেলাশাসক রশ্মি কমল। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
জেলায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে আগাগোড়া বিজেপি-কেই বিঁধলেন দলীয় নেতৃত্ব। সেই প্রসঙ্গে উস্কে গেল রামনবমী নিয়ে দু’পক্ষের টক্করও।
শনিবার বাজকুল কলেজ ফুটবল ময়দানে ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের পঞ্চায়েতরাজ সম্মেলন। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, ‘‘এ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে সারা ভারতের মানুষ তাকিয়ে আছেন। ইতিমধ্যে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের রণাঙ্গন তৈরি হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে দেশে যে মহাজোট তৈরি হয়েছে, সেই জোটের নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল যাতে সব আসন জেতে , সে দিকে নজর দিতে হবে।’’
পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলাকে নিরঙ্কুশ করার ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারীরাও। শুভেন্দু বলেন, “জেলায় হার্মাদদের নেতা লক্ষ্মণ শেঠ গায়ের লাল জামা পরিবর্তন করে এখন গেরুয়া জামা পরেছেন। ফের জেলায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছেন। গতবার রামনবমী উপলক্ষে অন্য জেলা ও ওডিশা থেকে লোক এনে কাঁথিতে উত্তরপ্রদেশের হাওয়া ঢোকানোর চেষ্টা হয়েছিল। আমরা তা রুখেছি।’’
পাশাপাশি শুভেন্দুর দাবি, ‘‘একই ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিরোধীরা পারবে না। আমরা সব আসনে জিতব।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীরও বক্তব্য, “আমরা ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে গতবার ১৯০টি পেয়েছিলাম। এখন সেই সংখ্যা ২১০। এ বার সবগুলোতে জিততে হবে।’’
এ দিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরেন শুভেন্দু। কোথায় কী, করতে হবে, কী করা উচিত নয়, বিশদে বুঝিয়ে দেন। শিশিরবাবু জানান, নিচুতলার কর্মীরা যাঁকে চাইবেন, পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছার ক্ষেত্রে তিনিই গুরুত্ব পাবেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করা হবে বলেও এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, কাঁথির পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী প্রমুখ।