বৈঠকে: শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র
আর কয়েক মাসের মধ্যেই শিলিগুড়ি পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদের নির্বাচন। তার আগে শাসক দলের সবগুলি শাখাকেই পূর্ণ মাত্রায় সক্রিয় করছেন নেতারা। কিন্তু দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের মধ্যে এখনও কিছু নড়বড়ে অবস্থা রয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের দাবি। সেগুলি দ্রুত কাটিয়ে তোলার পরামর্শ দিলেন দলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব। রবিবার শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মহিলা তৃণমূলের বুথভিত্তিক সম্মেলনে আসেন সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সামনেই জেলার মহিলাদের শিথীলতা কাটিয়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গৌতম দেব। উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায়, জনসংযোগযাত্রা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এই অবস্থায় ভোট প্রস্তুতিতে বাড়তি অক্সিজেন মহিলারা যোগাবেন বলে মনে করছে দল।
মহিলাদের জন্য পুরসভায় আসন সংরক্ষণ রয়েছে ৩৩ শতাংশ। ভোটার তালিকায়ও রয়েছে ৫০ শতাংশ মহিলা। কিন্তু ভোটের আগে মহিলা সংগঠনের ভূমিকা সেরকম সক্রিয়া থাকে না। এ বারের প্রস্তুতিতে মহিলা সংগঠনের ভূমিকাও ছোট করে দেখছে না তৃণমূল। কিন্তু দার্জিলিং জেলায় এখনও সব বুথে তৈরি হয়নি কমিটি। ওয়ার্ড কমিটিও সবগুলি তৈরি করা যায়নি। সূত্রের দাবি, রাজ্য সরকারি প্রকল্প, সরকারি নীতিগুলি নিয়ে এখনও সড়গড় নন নিচুতলার অনেক মহিলা কর্মীই। দলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, ‘‘অবিলম্বে একটি কর্মশালা করে এসব বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশোনা করুন। পরিসংখ্যান মুখস্ত রাখুন। কী কী প্রকল্প রাজ্যের রয়েছে, কেন এনআরসির বিরোধিতা প্রয়োজন, এগুলির ব্যাখ্যা জেনে বাড়ি বাড়ি যান।’’ নেতারা মনে করছেন, বুথের উপর জোর দিতে হলে সবগুলি ওয়ার্ডে কমিটি সক্রিয় থাকা দরকার। না হলে বুথ কমিটি জোরদার হবে না। এসব সমস্যা কাটাতেই কর্মশালার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ দিন পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ড থেকেই হাজির হয়েছিলেন মহিলারা। কিন্তু চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বলার আগেই অনেকেই বাড়ির দিকে যেতে চাইলে বিরক্ত হন সভানেত্রী। তিনি মাঝপথে মাইক হাতে চলাফেরা করতে বারণ করেন সকলকেই। তবুও মহিলাদের অনেকেই বাইরে যাওয়ার জন্য ছটফট করছেন দেখে গেটে তালা দিয়ে দেন কর্মকর্তারা। সভায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়াও রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী, দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকাররা ছিলেন। রঞ্জন বলেন, ‘‘ওয়ার্ডে ভোটার তালিকা সংশোধনে বেশিরভাগ কাজ দলের মহিলা সংগঠনের কর্মীরাই করছেন।’’ তবে কর্মশালার প্রয়োজনীতা অনুভব করেছেন চন্দ্রিমাও। তিনি বলেন, ‘‘মহিলাদের কর্মশালা অবশ্যই করা হবে। আমরা শিলিগুড়ি পুরসভা এবার চাই। তাই মহিলাদেরও পুরোমাত্রায় কাজে লাগানো হবে।’’ দার্জিলিং জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী সুষ্মিতা সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘সব জায়গায় কমিটি তৈরি করতে পারিনি তবে বেশিরভাগই হয়েছে। দলের নেতা-নেত্রীদের নির্দেশ মেনে আমরা বাকি থাকা কাজগুলি দ্রুত সেরে নেব।’’