Bribe

কাটমানি নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন অশোকনগরের তৃণমূল নেতা

শক্তিনগরের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,  আবাস যোজনায় গৃহ নির্মাণের জন্য এলাকার বাসিন্দা তথা গৃহপরিচারিকা শ্যামলী হালদারের কাছ থেকে টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন বাদল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অশোকনগর শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৩৫
Share:

স্থানীয়দের দাবি, ঘুষ চেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। —নিজস্ব চিত্র।

আবাস যোজনায় বাড়ি পাইয়ে দেবেন। বিনিময়ে তাঁকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। হতদরিদ্র এক গৃহপরিচারিকার কাছে এমন প্রস্তাবই দিয়েছিলেন স্বঘোষিত এক তৃণমূল নেতা। তবে সেই ঘুষের টাকা নেওয়ার সময় পাড়ার লোকজনের কাছে ধরা পড়ে গেলেন তিনি। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলার অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ওই নেতাকে আটক করে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে অভিযুক্তকে উদ্ধারের পর তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ২২ নং ওয়ার্ডের শক্তিনগরে আবাস যোজনার আওতায় টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন কাউন্সিলর সিদ্ধার্থ সরকারের অনুগামী তথা স্থানীয় বাসিন্দা বাদল ব্যাপারীর বিরুদ্ধে।

শক্তিনগরের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবাস যোজনায় গৃহ নির্মাণের জন্য এলাকার বাসিন্দা তথা গৃহপরিচারিকা শ্যামলী হালদারের কাছ থেকে টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন বাদল। অভিযুক্তের কাছে গৃহ নির্মাণের যাবতীয় নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন শ্যামলী। তবে তাঁর কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়। শুক্রবার সেই টাকা দিতে বাদলকে দিতে যান শ্যামলী। তবে বিষয়টি জেনে ফেলেন স্থানীয় ক্লাব তথা পাড়ার লোকজন। টাকা নেওয়ার সময় বাদলের বাড়ি পৌঁছে যান তাঁরা। এর পর বাদলকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। অভিযুক্তকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে অশোকনগর থানায় খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন: চালক-আরোহীর হেলমেট না থাকলে পেট্রল-ডিজেল নয় কলকাতায়

আরও পড়ুন: থাকলে থাকুন, নইলে লুটেরাদের দলে যান, নাম না করে শুভেন্দুকে বার্তা মমতার

পুলিশ সূত্রের খবর, বাদলের অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্যামলী। গোটা বিষয়ে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সিদ্ধার্থ সরকারের দাবি, “অভিযুক্ত আবাস যোজনায় টাকা নিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। তবে এমনটা হয়ে থাকলে দল তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।” অন্য দিকে, প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর তথা বিরোধী দলনেতা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসের দাবি, “রাজ্য জুড়ে এ ভাবেই কাটমানি নিচ্ছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আর দুয়ারে দুয়ারে সরকারি প্রকল্প চালু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সব করে কাটমানি খাওয়ার রাস্তা আরও সহজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement