হাসপাতালে আহত তৃণমূলকর্মী। নিজস্ব চিত্র।
শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে এবার মারামারির সাক্ষী হল নার্সারি স্কুলও। বুধবার কোচবিহারের দিনহাটা ব্লকের গিতালদহর একটি নার্সারি স্কুলে ঢুকে দুষ্কৃতীরা দুই শিক্ষকের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। তারা ওই দুই শিক্ষককে লক্ষ্য করে স্কুলের মধ্যে গুলিও চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও গুলির কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। সেই সময় ওই স্কুলে কোনও পড়ুয়া ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোচবিহার শহরে নিয়ে যাওয়া হয় ওই দুই শিক্ষককে। অভিযোগ, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ওই হামলা চালায়। আহত দুই শিক্ষক এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসাবে পরিচিত। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, কোচবিহারের প্রায় সব জায়গাতেই তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের এমন সংঘর্ষ নিত্যকার ঘটনা।স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের মতও তাই।
এ দিন এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘সকালে হঠাৎই বাইকে চড়ে কয়েকজন যুবক ওই স্কুলে আসে। তাঁরা এলাকায় যুব তৃণমূল নেতা আবুয়াল আজাদের অনুগামী হিসাবে পরিচিত। তার পরেই ওই শিক্ষকদের মারধর শুরু করে। বাইরে থেকে গুলির আওয়াজও শোনা গিয়েছে।”
আরও পড়ুন: আইপিএস পরিচয় দিয়ে রাস্তায় তোলাবাজি, গ্রেফতার ভুয়ো পুলিশ কর্তা-সহ ৪
তৃণমূলের দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের ওই এলাকার সভাপতি মানোয়ার হোসেন। তিনি, তাঁর দুই ভাই মজনু হক এবং মফজ্জল হক দিনহাটা যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। সেই সময় হামলা হয়। প্রথমে মানোয়ারকে রড দিয়ে মারে। রুখতে গেলে মজনু এবং মফজ্জলকে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা।’’ নুর আলমের অভিযোগ, সেই সময় মজনু বাড়ির সামনেই একটি নার্সারি স্কুলে ছিলেন। স্কুলের মধ্যেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।চলে গুলিও। মানোয়ার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। একটি নার্সারি স্কুলের শিক্ষকমজনু। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয়রা দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করার চেষ্টা করলে তারা শূন্যে গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: এসএসসি-র প্রধান বদল ঘিরে চাঞ্চল্য
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা আবুয়াল আজাদ। তিনি পাল্টা দাবি করেছেন, ‘‘মানোয়ার এবং তার দলবল এক যুব তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেছে।’’
ঘটনার পরই হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মন্ত্রী এবং কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি যদিও ঘটনায় যুব তৃণমূলের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি।তিনি বলেন,“এই ঘটনার পেছনে কিছু দুষ্কৃতী রয়েছে। এই দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে বিজেপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক।”
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগ।)