—প্রতীকী ছবি।
কয়েক মাস আগে এলাকার পঞ্চায়েতের আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। পঞ্চায়েতের ক্ষমতাও দখল করেছে বিরোধীরা। আর তার পরেই বিজেপির ‘চাপে’ এ বার তাঁরা এলাকায় কালীপুজো আয়োজন করতে পারলেন না, অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের কিছু কর্মী। পূর্ব বর্ধমানের গলসির সাঁকো পঞ্চায়েতের সারুল কলোনিতে তাঁরা যে মাঠে পুজো করতেন, ‘ক্ষমতার জোরে’ সেখানে এ বার বিজেপি ফুটবল প্রতিযোগিতা চালু করায় পুজো বন্ধ রাখতে হয়েছে, অভিযোগ তাঁদের।
সাঁকো পঞ্চায়েতের ১৩টি আসনের মধ্যে এ বার তৃণমূল ৬টি, বিজেপি ৪টি এবং সিপিএম, কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক একটি করে আসনে জেতে। বাম-বিজেপি-কংগ্রেস মিলে পঞ্চায়েতের বোর্ড গড়েছে। এর মধ্যে সারুল কলোনি এলাকার আসনে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী সুনীল মার্ডি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় দু’টি কালীপুজো হয়। একটি বিজেপি প্রভাবিত, অন্যটি তৃণমূলের। বিজেপি প্রভাবিত পুজোটির অন্যতম উদ্যোক্তা পঞ্চায়েত সদস্য সুনীল। আর অন্য পুজোটির আয়োজন করে থাকেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী কিঙ্কর মণ্ডল, দিলীপ বড়ুয়ারা। তাঁরা জানান, প্রথমে তাঁদের পুজোটি হত পাড়ার প্রাথমিক স্কুল চত্বরে। স্কুলটি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়ায় গত তিন বছর গ্রামের খেলার মাঠে পুজো করা হচ্ছিল। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত, পাঁচ দিন ধরে মেলা বসত।
এ বার ওই মাঠে পুজো হচ্ছে না। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, আয়োজনে যেহেতু তাঁরা রয়েছেন, সে কারণে পুজো আটকাতে ভোটে জেতার পরেই চক্রান্ত শুরু করে বিজেপি। পুজোর সময়ে মাঠটিতে দু’দিনের ফুটবল প্রতিযোগিতার আসর বসিয়েছে তারা। গলসি ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজন মণ্ডল বলেন, ‘‘বিজেপি চক্রান্ত করেছে। আমরা কোনও জবরদস্তিতে যাইনি, পুজো বন্ধ রেখেছি।’’
বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুনীলের পাল্টা দাবি, ‘‘এ সব মিথ্যা অভিযোগ। অতীতে ওই মাঠে কালীপুজোর দিন ফুটবলেরই আয়োজন হত। সম্প্রতি মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ওঁরা সেখানে পুজো করছিলেন। এ বার আবার ফুটবল প্রতিযোগিতা হচ্ছে।” তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘ওঁরা অন্যত্র পুজো করতেই পারতেন। কিন্তু বিজেপির বদনাম করতে তা করেননি।’’