(বাঁ দিকে) বিবেক গুপ্ত, শশী পাঁজা (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
কোন্দল চলছিলই। অবশেষে সরস্বতী পুজো নিয়ে জট তৈরি হওয়ায় উত্তর কলকাতার চিত্তরঞ্জন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি বদলে পদক্ষেপ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে সরানো হল জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্তকে। শ্যামপুকুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের শিক্ষা সেলের প্রধান ব্রাত্য বসু গোটা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। ব্রাত্য বলেন, ‘‘ওই কলেজে পরিচালন সমিতির সভাপতির পদে বিবেক গুপ্তের জায়গায় শশী পাঁজাকে আনা হয়েছে।’’ কেন? ব্রাত্যের জবাব, ‘‘এ প্রসঙ্গে পরে বিস্তারিত বলব।’’
ব্রাত্য খোলসা না-করলেও তৃণমূলেরই একটা অংশ বলতে শুরু করেছে, কলেজে কী চলছিল। অন্য সব কলেজের মতোই চিত্তরঞ্জন কলেজের ছাত্র সংসদ চালায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। শাসকদলের একটি অংশের বক্তব্য, টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের সঙ্গেই সংঘাত তৈরি হয়েছিল বিবেকের। বিভিন্ন কর্মসূচিতে ছাত্র সংসদের তহবিল খরচের বিষয়ে পরিচালন সমিতির অনুমোদন প্রয়োজন হয়। অভিযোগ, সেই অনুমোদন আটকে রাখা হচ্ছিল। এক মহিলার নামও জড়িয়েছে এই কোন্দলে। অভিযোগ, সংঘাতের ফলে আসন্ন সরস্বতী পুজো বন্ধ হতে বসেছিল। এই পরিস্থিতিতেই হস্তক্ষেপ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সাধারণ ভাবে একটি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি বদল বড় কোনও বিষয় নয়। কিন্তু শাসকদলের বিধায়ককে সরিয়ে মন্ত্রীকে সেই পদে বসানো ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে। অনেকে আবার সমগ্র বিষয়টিকে উত্তর কলকাতার তৃণমূলের অন্দরে বিভাজনের নিরিখেও দেখতে চাইছেন।