মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘিরে দফায় দফায় গোলমাল হয় রাজারহাটের শিখরপুরে। —প্রতীকী চিত্র।
মাটি তোলাকে কেন্দ্র করে গোলমালে জড়াল তৃণমূলের স্থানীয় দু’টি গোষ্ঠী। সেই দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে মার খেলেন তৃণমূলেরই একটি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘিরে দফায় দফায় গোলমাল হয় রাজারহাটের শিখরপুরে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। প্রহৃত উপপ্রধানের নাম আক্রামুল আলি মোল্লা। তাঁর অভিযোগ, অঞ্চল সভাপতি জব্বার মোল্লার অনুগামীরা তাঁকে মারধর করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘গত এক মাস ধরে চাঁদপুর এলাকায় মাটির গাড়ি চলছে। আমি বলেছিলাম, এ ভাবে মাটির গাড়ি চালিয়ে এলাকার রাস্তাঘাট খারাপ করা যাবে না এবং জলাভূমি ভরাট করা চলবে না। সেই রাগেই ওরা আমাকে মারধর করেছে।’’
তাঁর অনুগামীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে শিখরপুর বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন আক্রামুল। তখন এলাকারই কয়েক জন যুবক এসে তাঁর উপরে চড়াও হন। শাহবুদ্দিন মোল্লা নামে এক যুবক তাঁর কোমর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বার করে আক্রামুলকে গুলি করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে বুধবার সকালে চাঁদপুরে রাস্তা অবরোধ করেন আক্রামুলের অনুগামীরা। রাজারহাট থানার পুলিশ শাহবুদ্দিন মোল্লা ও শাইনুর মোল্লা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জব্বার।
রাজারহাট-নিউ টাউনের তৃণমূল সভাপতি প্রবীর করের অবশ্য দাবি, মারামারির ঘটনা অরাজনৈতিক। পুরোটাই ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে হয়েছে। সূত্রের দাবি, গত মঙ্গলবার নিউ টাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় ইফতার নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন। সেখানে হাজির ছিলেন অঞ্চল সভাপতি জব্বার ও তাঁর অনুগামীরা। তাঁরা সমাজমাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবির নীচে আক্রামুলের অনুগামীরা কুমন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। তার জেরেই মঙ্গলবার রাতে দু’পক্ষের গোলমাল হয়। পরিস্থিতি এমনই হয় যে, রাস্তা ছেড়ে রাজারহাট থানার ভিতরেও দু’পক্ষ মারামারি শুরু করে। পরে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে।
তাপসের দাবি, ‘‘ওই গোলমালের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। একেবারে ব্যক্তিগত বিষয়। তবে, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে দলের বৈঠকের ভিডিয়ো যাতে ইচ্ছে মতো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করা না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা হবে।’’