নারকেলডাঙার অগ্নিকাণ্ডের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কাউন্সিলর শচীন সিংহ। ছবি: ফেসবুক।
নারকেলডাঙার অগ্নিকাণ্ডে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরকে শো কজ় করল তৃণমূল। পাঁচ দিনের মধ্যে তাঁকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। বুধবার বিকেলে কারণ দর্শানোর ওই চিঠি তুলে দেওয়া হয়েছে শচীনের হাতে। তিনি কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
তৃণমূলের কাউন্সিলর দলের মুখ্য সচেতক তথা ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘বুধবার বিকেলে আমি শচীনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ওঁকে চিঠির উত্তর দিতে হবে। আগে সেই জবাব আসুক, তার পর ওঁর বিষয়ে অবস্থান ঠিক করবে দল।’’
কিছু দিন আগে নারকেলডাঙার একটি ঝুপড়ি এলাকায় আগুন লেগে গিয়েছিল। তাতে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে অন্তত ৬০টি ঝুপড়ি। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় এক এলাকাবাসীর। ওই ঘটনার পরেই এলাকার মানুষ স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁকে ঘিরে দীর্ঘ ক্ষণ বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরের দিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এলাকা পরিদর্শনে গেলে তাঁর সামনেও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নালিশ করেন অনেকে। গোটা ঘটনার মধ্যে দিয়ে এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠী দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। কাউন্সিলরের অনুগামীদের সঙ্গে তাঁদের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এতে অস্বস্তিতে পড়েছিল দল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, নারকেলডাঙার অগ্নিকাণ্ড এবং শচীনকে ঘিরে এলাকার মানুষের অভিযোগ, বিক্ষোভে অসন্তুষ্ট খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বুধবার মেয়রকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। তার পর কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয় শচীনের কাছে।
নারকেলডাঙার ঘটনায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল। এক সময়ে দেখা গিয়েছিল, থানার সামনে অবস্থানে বসেছেন শচীন এবং তাঁর অনুগামীরা। অভিযোগ, এর আগে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের নেতাদের কাছেও শচীনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। খোদ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের ক্ষোভ, বার বার দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসা ভাল চোখে দেখেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।