রাখি নিয়ে রাজনীতি, রাজ্য সরগরম

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ দিন রাখি বাঁধেন অনেকের হাতে। নবান্নে যাওয়ার আগে রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাতে রাখি বাঁধেন তিনি। আর নবান্নে ঢুকেই প্রথম রাখি পরান লিফটম্যানদের হাতে। তার পর কয়েক জন মন্ত্রী এবং অফিসারকে নিজের ঘরে ডেকে রাখি পরান মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৭ ০৫:০১
Share:

দিনভর হাতে রাখি। তৃণমূল, সিপিএম এবং বিজেপি— সবাই নিজের মতো করে রাস্তায়। চলল সম্প্রীতির রাখিবন্ধন।

Advertisement

ওই তিন দলই আগে ঘোষণা করেছিল, সোমবার তারা রাখির মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা দেবে। সেই কথামতোই এ দিন সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে পাড়ায় পাড়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহযোগে রাখিবন্ধন উৎসব উদ্‌যাপন করে তৃণমূল। বিধানসভায় তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা সতীর্থদের হাতে রাখি বাঁধেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ দিন রাখি বাঁধেন অনেকের হাতে। নবান্নে যাওয়ার আগে রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাতে রাখি বাঁধেন তিনি। আর নবান্নে ঢুকেই প্রথম রাখি পরান লিফটম্যানদের হাতে। তার পর কয়েক জন মন্ত্রী এবং অফিসারকে নিজের ঘরে ডেকে রাখি পরান মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজের দফতরের সব অফিসার, পুলিশকর্মী এবং নবান্নে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের হাতেও এ দিন রাখি বাঁধেন মুখ্যমন্ত্রী। শাহরুখ খান মমতার হাতে রাখি পরার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন আগে। কিন্তু পিঠে ব্যথার জন্য এ দিন হাজির হয়ে ‘দিদি’র হাত থেকে রাখি পরতে পারেননি। তাই মমতা তাঁর জন্য রাখি পাঠিয়ে দিয়েছেন। রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ এবং সহ সভাপতি স্বামী সুহিতানন্দের জন্যও রাখি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি এই দিনে কাউকে মিস করেন? মমতা বলেন, ‘‘দলের বহু ছেলের কথা এই দিনে আমার মনে পড়ে। অনেকের সঙ্গে দল করেছি। মনে পড়লেই মন খারাপ হয়।’’

রাখিপূর্ণিমার এই দিনে প্রচারের আলো টেনেছেন আরও দুই রাজনৈতিক চরিত্র। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং ওই দলেরই মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। দিলীপবাবু গত বারের মতো এ বারও বিধানসভায় সব দলের বিধায়ক, মন্ত্রী, বিধানসভার কর্মী এবং সাংবাদিকদের রাখি পরান। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দিলীপবাবু রাখি পরান বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন। ফিরহাদ দিলীপবাবুর পাশে গিয়ে বসেছিলেন। তখনই তাঁর হাতে রাখি বাঁধেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। দিলীপবাবুকে রাখি পরান তৃণমূল বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস।

লকেট এ দিন দিলীপবাবু, রাজ্যপাল এবং বিজেপি কর্মী ও সাংবাদিকদের রাখি পরান। বস্তুত, লকেট এবং মুখ্যমন্ত্রী একই সময়ে রাজভবনে রাজ্যপালকে রাখি পরাতে যান। কিন্তু দু’জনে মুখোমুখি হননি। পুলিশকর্মীদের রাখি পরাতে এ দিন লালবাজারেও গিয়েছিলেন লকেট। কিন্তু পুলিশ তাঁর হাত থেকে রাখি পরতে অস্বীকার করে। তাতে লকেটের প্রতিক্রিয়া, ‘‘রাজনীতিগত ভাবে নয়, বোন হিসাবে রাখি পরাতে গিয়েছিলাম। ওঁরা পরলেন না। খারাপ লাগল।’’ আর দিলীপবাবুর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপি-র হাত থেকে রাখি পুলিশ পরবে কী করে?’’

সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে নাখোদা মসজিদ পর্যন্ত সম্প্রীতির রাখিবন্ধন করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement