তৃণমূলের মিছিলে হাঁটছেন মমতা। - নিজস্ব চিত্র।
নারী দিবসকে উপলক্ষ করে কলকাতায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিল তৃণমূল। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ শ্যামবাজার থেকে এক মিছিল বেরোয়। সেই মিছিল শেষ হয় ডোরিনা ক্রসিং-এ। মিছিলে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রী এবং বেশ কয়েক জন প্রার্থীও হেঁটেছেন। দলীয় তরফে যদিও বলা হয়েছিল, আনুষ্ঠানিক ভাবে মালদহ থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করা হবে। কিন্তু, এ দিনই মমতা ডোরিনা ক্রসিং-এ জানিয়ে দিলেন, ‘‘ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল, আসছে আবার তৃণমূল।’’ পাশাপাশি তিনি ‘হাত-হাতুড়ি-পদ্ম’কে আসন্ন নির্বাচনে ‘জব্দ’ করার আহ্বানও জানিয়েছেন। যা থেকে স্পষ্ট এ দিন থেকেই তৃণমূল নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দল।
এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ শ্যামবাজারের পাঁচমাথা মোড় থেকে তৃণমূলের মিছিল শুরু হয়। বিধান সরণি, কলেজ স্কোয়্যার, নির্মলচন্দ্র চন্দ স্ট্রিট, ওয়েলিংটন হয়ে মিছিল শেষ হয় ডোরিনা ক্রসিং-এ। প্রথমে ঠিক ছিল ওয়েলিংটন থেকে এসএন ব্যানার্জী রোড হয়ে মিছিল ডোরিনা ক্রসিং-এ পৌঁছবে। কিন্তু, ওয়েলিংটনের মোড়ে এসে মিছিল থমকে যায়। ঠিক হয়, লেনিন সরণি হয়ে ধর্মতলা মোড় হয়ে ডোরিনা ক্রসিং-এ পৌঁছবে মিছিল। প্রস্তুতি না থাকায় বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। পরে ওই পথেই এগিয়ে যান তাঁরা।
মিছিলে শুরু থেকেই মমতা ছিলেন। আশপাশের নাগরিকদের উদ্দেশে হাতও নাড়েন তিনি। পাশে ছিলেন রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সোনালি গুহ, মালা সাহা-সহ অন্য নেত্রীরা। পরে শ্যামপুকুর থেকে মিছিলে যোগ দেন আর এক বিদায়ী মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং বিদায়ী বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। সিমলে পাড়া থেকে মিছিলে হাঁটেন বালির তৃণমূল প্রার্থী বৈশাখী ডালমিয়া। পরে ওয়েলিংটনের মোড় থেকে যোগ দেন দোলা সেন এবং ফেরদৌসি বেগম। ডোরিনা ক্রসিং-এর অস্থায়ী মঞ্চে তখন ভাষণ দিচ্ছেন মালা রায়। ওই মঞ্চ থেকেই মমতা মিনিট দুয়েক কথা বলেন। তাঁর কথায়, ‘‘রাস্তা অবরোধ করে মিটিং করব না আমরা। নারী দিবসে মা-মাটি-মানুষের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সালের ৮ মার্চ আমরা লোকসভার নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলাম।’’ আনুষ্ঠানিক ভাবে না হলেও এ দিনই যে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেল, তা মমতার কথাতেই স্পষ্ট।