বহিরাগতদের’ এনে বাংলায় অশান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। সাংবাদিক সম্মেলন করে বুধবার এই অভিযোগ করল তৃণমূল। এতেই অবশ্য থামল না রাজ্যের শাসক দল। বিজেপি-র ‘বহিরাগত নেতারা’ কোথাও ‘বিভাজন’ বা ‘অশান্তি’ তৈরির চেষ্টা করছেন দেখলেই সর্বশক্তি দিয়ে তা রোখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। বললেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
বুধবার তৃণমূল ভবনে এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন দলের অন্যতম মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সদস্য সুখেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে যে ভাবে বাংলার রাজনীতিকে কলুষিত করা হচ্ছে, তা শুধু আশঙ্কাজনক নয়, একে প্রতিহত করতেই হবে।’’ সুখেন্দুর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছিলেন, তখন রাজ্য ‘বিধ্বস্ত’ অবস্থায় ছিল। মমতার আমলেই জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে বলে তিনি মনে করিয়ে দেন। কিন্তু বিজেপি সেই শান্তি নষ্ট করে বাংলায় আবার ‘নেতিবাচক রাজনীতি আমদানি’ করছে বলে সুখেন্দু তোপ দাগেন। তাঁর দাবি, ‘‘ভেঙে দাও-গুঁড়িয়ে দাও, জ্বালিয়ে দাও-পুড়িয়ে দাও-এর রাজনীতি এ রাজ্যে অতীত হয়ে গিয়েছিল। আবার সেই রাজনীতি ফেরানোর চেষ্টা চলছে।’’
মঙ্গলবারই কলকাতায় রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এ রাজ্যে বিজেপি-র যে পাঁচটি জোন, সেগুলির প্রত্যেকটির দায়িত্বে একজন করে কেন্দ্রীয় নেতাকে নিযুক্ত করা হয়েছে সে বৈঠকে। কলকাতা জোনের দায়িত্ব পেয়েছেন দুষ্মন্ত গৌতম, মেদিনীপুর জোনের দায়িত্ব পেয়েছেন সুনীল দেওধর, রাঢ়বঙ্গ জোনের দায়িত্ব পেয়েছেন বিনোদ সোনকর। উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হরিশ দ্বিবেদীকে। আর নবদ্বীপ জোন পেয়েছেন বিনোদ তাওড়ে।
আরও পড়ুন: খসড়াতে প্রায় ৭ কোটি ভোটার, রাজ্যে শুরু হল তালিকা সংশোধনের কাজ
আরও পড়ুন: ট্রেন চলছে না এই যুক্তিতে আদালতে ফের গরহাজির ছত্রধর
বিজেপির এই নেতাদের নাম এ দিন সুখেন্দু করেননি। কিন্তু তৃণমূল সাংসদের নিশানায় যে তাঁরাই ছিলেন, তা স্পষ্ট। সুখেন্দুর কথায়, ‘‘এই যে বহিরাগতরা বাংলায় এসেছেন, তাঁরা কী জন্য এসেছেন, অশান্তি পাকাতে এসেছেন, নাকি বিভাজন তৈরি করতে এসেছেন, দেখতে হবে।’’ সুখেন্দু জানান, তৃণমূল কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ‘বহিরাগতদের’ কার্যকলাপের উপরে সব সময় নজর রাখতে। ‘কোথাও বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে দেখলেই সর্বশক্তি দিয়ে তা রুখতে হবে’, কর্মীদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।