BJP

Asansol Municipality: জিতেন পুরসভাকে পথে বসিয়েছেন, ধার ৫৫৫ কোটি টাকা, অভিযোগ খারিজ বিজেপি নেতার

বিধানসভা ভোটের পর পুর ভোটকেই পাখির চোখ করেছেন জিতেন। সম্প্রতি আসানসোল পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনাও করতে শোনা গিয়েছে জিতেনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২১ ২৩:২৫
Share:

অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ফাইল চিত্র।

আসানসোলের মেয়র থাকাকালীন ৫৫৫ কোটি টাকা বকেয়া রেখে পুরসভাকে পথে বসিয়ে গিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করছে তৃণমূল। যদিও জোড়াফুল শিবিরের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জিতেন।

আসানসোল পুরসভার বর্তমান পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘আসানসোলের জনগণ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। পুরসভার বকেয়া রয়েছে ৫৫৫ কোটি টাকা। বাম আমলে হয়েছিল রবীন্দ্র ভবন। আমরা সেই দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। ওঁর (জিতেন্দ্র তিওয়ারি) আমলে রবীন্দ্র ভবনের সংস্কার হয়েছিল। সেই কাজে ৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। উনি সে দিন আমাদের কথা শোনেননি। শুনলে ওই টাকায় আর একটা রবীন্দ্র ভবন তৈরি হয়ে যেত। অথচ রবীন্দ্র ভবনের জন্য ৯ কোটি টাকা বকেয়া নেই। বাকি রয়েছে কফি হাউস, প্রেস ক্লাব নির্মাণের টাকা। এর কী রহস্য জানি না।’’

তৃণমূল শিবিরের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জিতেন। অমরনাথকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘উনি তদন্তের নির্দেশ দিতেই পারেন। তবে উনি সে সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। সব কাগজে উনি সই করেছেন। তখন ওঁর বুদ্ধি ছিল না? আমি কর আদায় করতাম। আমি লড়াই করতাম। উনি লড়াই করলে ওঁর চেয়ারটাই চলে যাবে। প্রথমে নিজের বিরুদ্ধে আগে তদন্ত করুন।’’

Advertisement

বিধানসভা ভোটের পর পুর ভোটকেই পাখির চোখ করেছেন জিতেন। সম্প্রতি আসানসোল পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনাও করতে শোনা গিয়েছে জিতেনকে। করোনার টিকা, পুরসভার নানা পরিষেবা-সব বিভিন্ন ইস্যুতেই সুর চড়াচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি পুরসভার কাজকর্মের প্রতিবাদে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ময়দানেও নামতে দেখা গিয়েছে ওই বিজেপি নেতাকে। পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে সক্রিয় জিতেনকে তাঁর আমলের প্রসঙ্গ টেনে এ বার পাল্টা আক্রমণের পথে তৃণমূল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement