ইটের ঘায়ে রক্তাক্ত বিজেপি কর্মী। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির মিছিলে হামলার ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানা এলাকা। বুধবার বেলার দিকে রামনগরের লালুপুর থেকে দেপাল পর্যন্ত একটি মিছিলের আয়োজন করে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব। সেই মিছিলের উপর পিছন থেকে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই হামলার পিছনে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
বিজেপির অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটের আঘাতে মাথা ফেটেছে তাদের এক কর্মীর। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় রামনগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ছাড়াও হামলায় আরও জনা দশেক বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। এই ঘটনার পরেই দেপালে কলেজ মোড়ের কাছে রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি।
মিছিলে হামলা এবং পথ অবরোধের খবর পেয়ে রামনগর থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখানে উপস্থিত বিজেপি নেতৃত্বকে আশ্বাস দেওয়া হয়, দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরার ব্যবস্থা করা হবে। প্রায় ৪৫ মিনিট অবরোধ চলার পর তা তুলে নেওয়া হয়। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর দাবি, তৃণমূলের পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই বিজেপির কর্মীদের উপর এ ভাবে হামলা চালাতে হচ্ছে।
অনুপের আরও অভিযোগ, গত কাল মঙ্গলবার এই এলাকায় কয়েক জন বিজেপি নেতার উপর হামলা চালানো হয়। তারই প্রতিবাদে বুধবার হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পথে নামেন তাঁরা। মিছিলের উপর রড, লাঠি, ইট নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের হাত থাকার পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা না হলে প্রতিবাদ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন অনুপ।
যদিও গোটা ঘটনায় তৃণমূলের জড়িয়ে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। তিনি জানান, "আমরা কেন হামলা করব! আমরা চাইলে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করব।" তাঁর দাবি, এই এলাকায় বিজেপির শক্তি নগণ্য। নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল চূড়ান্ত। নিজেদের দলের লোকেরাই এই হামলায় যুক্ত বলে পাল্টা অভিযোগ জানান অখিল।