ট্রেনের উইন্ড স্ক্রিন-সহ সমস্ত জানলার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়।— ফাইল চিত্র।
সকাল ৭টা ১৫: বনগাঁ থেকে ছাড়ে শিয়ালদহগামী ডাউন মাতৃভূমি লোকাল।
সকাল ৭টা ৪০: ট্রেনটি গোবরডাঙা স্টেশনে পৌঁছয়। কিছু পুরুষ যাত্রী তাতে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ট্রেনের প্রত্যেক কামরায় থাকা আরপিএফ জওয়ানরা তাঁদের উঠতে বাধা দেন।
সকাল ৭টা ৪২: ট্রেনটি গোবরডাঙা স্টেশন ছাড়া মাত্রই রেল অবরোধ শুরু করেন ওই যাত্রীরা। সেখানে অবরোধের মুখে পড়ে ডাউন মাঝেরহাট লোকাল।
সকাল ৭টা ৫৫: মাতৃভূমি লোকাল হাবরা ঢুকতেই তা আটকে দেন সেখানকার অবরোধকারীরা।
সকাল ১০টা ৪০: অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আরপিএফ। কিন্তু, তাতে অবরোধ ওঠেনি।
সকাল ১১টা: উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের ডিএসপি (সদর) দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কমব্যাট ফোর্স এবং পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। অবরোধকারীদের দিকে তারা লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায়। সাময়িক ভাবে পিছু হটেন অবরোধকারীরা। পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছোড়া হয়। ট্রেনের উইন্ড স্ক্রিন-সহ সমস্ত জানলার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম হন অনেকে।
সকাল সাড়ে ১১টা: অবরোধকারীদের এক জনকে চড় মারার অভিযোগে, হাবরা স্টেশনের দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক মহিলা যাত্রীকে বেধড়ক পেটানো হয়। তাঁর দাবি, তিনি কাউকেই মারেননি। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাবরা থানায় নিয়ে যায়।
দুপুর ১২টা ১৭: অশোকনগরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি আপ বনগাঁ লোকালকে রেল উল্টোমুখী করে শিয়ালদহগামী বিশেষ ট্রেন হিসেবে চালায়।