এই সেই বোমা।—নিজস্ব চিত্র।
অচেনা নম্বর থেকে ফোনটা এসেছিল কার্তিক গাঁতাইতের কাছে। মোবাইলের ও পারের অজানা কণ্ঠ জানিয়েছিল, গুদামে ‘টাইম বম্ব’ রাখা আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের ওই ফোনটা পেয়েই তড়িঘড়ি লোহার গুদামে যান কার্তিক। গিয়ে দেখেন, ঠিক সিনেমাতে দেখা টাইম বোমার মতোই দেখতে রঙবেরঙের তার জড়ানো ব্যাটারি, ইলেক্ট্রনিক সার্কিট-সহ একটা ডিভাইস রয়েছে সেখানে। দেখে আত্মারাম প্রায় খাঁচা ছাড়া হওয়ার দশা তখন কার্তিকের!
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার শেরহাটি গ্রামে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পাঁশকুড়া থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল। আসে পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটও। পুলিশ এসে প্রাথমিক ভাবে সেটিকে ‘টাইম বম্ব’ বলেই সন্দেহ করে। গুদামটি পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাছাকাছির বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিটোনেটর না থাকলেও ওই ডিভাইসে স্বল্প ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক রয়েছে।
পাঁশকুড়া শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের শেরহাটি গ্রামে কে বা কারা এবং কী উদ্দেশ্যে ওই বোমা রেখেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রত্যন্ত এলাকার এই গ্রামে কেউ এমন ভাবে টাইম বোমা রাখতে পারে তা ভাবতেও পারছেন না স্থানীয়েরা। উদ্ধার হওয়া বোমাটিকে পরীক্ষা করে দেখছে বম্ব স্কোয়াড।
আরও পড়ুন: বঙ্গে পদ্মের হাত ধরেছে কং! দিল্লিতে বিস্ফোরক ডেরেক, পাল্টা তোপ অধীরের
পুলিশ জানিয়েছে, যে মোবাইল থেকে কার্তিকের কাছে ফোন এসেছিল, সেটি তার পর থেকে সুইচড্ অফ রয়েছে। ওই ফোন কলের সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে তারা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যবসায়িক কোনও বিরোধিতা থেকেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছটপুজো নয় সরোবরে, ফিরহাদের গলায় ধর্মীয় আবেগের সুর, তোপ বিরোধীদের