কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে, ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংহ ও ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহ হাজিরা এড়িয়ে গেলেন। —ফাইল চিত্র।
তিনটি ভিন্ন কারণে পুলিশের ড়াক পেয়েছিলেন বিজেপির তিন নেতা। কিন্তু যাওয়ার কথা থাকলেও কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে, ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংহ ও ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহ হাজিরা এড়িয়ে গেলেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে টাকা চাওয়ার মামলায় পুলিশের নিখিলরঞ্জন আগামী ২০ জানুয়ারির আগে দেখা করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার পুলিশি নোটিস এড়ালেন বিজেপি বিধায়ক। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম করে বিধায়ক আবাসে ডেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগে কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান শেক্সপিয়র সরণি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই তদন্তে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই তদন্তে উঠে আসে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়কের নাম। এর পরেই বিজেপি বিধায়ককে তিন দিনের মধ্যে শেক্সপিয়র সরণি থানায় আসার নোটিস দেয় শেক্সপিয়র সরণি থানা। যদিও তিনি ৭ জানুয়ারির আগে থানায় যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন। তাঁকে আবার ৮ জানুয়ারি ডেকে পাঠায় পুলিশ। যদিও মঙ্গলবারও বিধায়ক আসেননি। সেই সঙ্গেই ডেকে পাঠানোর ১৫ দিন আগে জানানোর কথা বলেছেন বলেছেন তিনি। বিরোধী দলনেতার পামর্শে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেই তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। নিখিলরঞ্জন অবশ্য বলেন, ‘‘এই সময় ব্যস্ত রয়েছি, তাই যেতে পারিনি। পরে যাব।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, বিধায়কের আবেদনের প্রক্ষিতে আবার ২১ জানুয়ারি তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে শেক্সপিয়র সরণি থানা। এই নিয়ে তাঁকে তৃতীয় বার নোটিস দেওয়া হল। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের কটাক্ষ, ‘‘আগেই বলেছি, কলকাতায় বিজেপির বড় বড় মাথারা রয়েছেন, যাঁরা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। তাঁদের পরামর্শ মেনেই উনি যাচ্ছেন না। শীতের পরে হয়তো যাবেন!’’
পুরনো একটি মামলায় এ দিন প্রাক্তন সাংসদ অর্জুনকে তলব করেছিল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। সেই সঙ্গে একই দিনে অন্য একটি মামলায় প্রাক্তন সাংসদের পুত্র, বিধায়ক পবনকে তলব করেছিল সিআইডি। যদিও এ দিন হাজিরা এড়িয়েছেন পিতা-পুত্র। জগদ্দলের মজদুর ভবনে এ দিন অর্জুন বলেন, “তদন্তকারীদের কাছে সময় চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমার শরীর ভাল নয়। তা ছাড়া, কলকাতা হাইকোর্টে পুরানো একটি মামলার শুনানিও আছে।” তাঁর পুত্র পবন এনআইএ-র কাছে একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে যাওয়ায় সিআইডি-র তলবে যেতে পারনেনি বলে জানিয়েছেন। এই সূত্রে অর্জুনের বক্তব্য, “সময় বদলালে দলদাস পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। মমতা সরকারের হাল হয়েছে ইউনূস সরকারের মতোই!”