এগিয়ে আসছে ‘মিগজাউম’। সব হিসাব মিললে এ রাজ্যেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রবল।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে ‘মিগজাউম’। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম এবং নেল্লোরের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে সে। তখন তার গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় প্রায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এখন ‘মিগজাউম’ দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তর তামিলনাড়ুর কাছে পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর রয়েছে।
ক্রমে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। শেষ ছ’ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল আট কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
চেন্নাই থেকে ৯০ কিলোমিটার পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বে, নেল্লোরে থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পুদুচেরি থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, বাপাতলার থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে, মছলিপত্তনম থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণে রয়েছে সেই ঘূর্ণিঝড়।
ক্রমে তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এবং দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে উত্তর দিকে এগোচ্ছে। ৫ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার দুপুরে নেল্লোর এবং মছলিপত্তনমের মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে।
‘মিগজাউম’প্রভাবে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে।
হালকা বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা সহ হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানে।
৬ ডিসেম্বর, বুধবারও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
৭ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবারও দক্ষিণ বঙ্গের কিছু জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।