—প্রতীকী ছবি।
মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গোস্বামী ওরফে কিশোরদা গ্রেফতার হয়েছেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে বৃহস্পতিবার। সম্প্রতি বাঁকুড়ার সিলমিপাল এলাকা থেকে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ধরেছে বলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্রের দাবি। যদিও রাজ্য পুলিশের এ বিষয়ে মুখে কুলুপ। আজ, শুক্রবার কিশোরদাকে আদালতে তোলা হতে পারে বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিশোরদা এখন মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। বছর দুয়েক আগে অসমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে কয়েকজন মাওবাদী নেতা ধরা পড়ার পরে জানা যায়, কিশোরদা সক্রিয় ভাবে দলের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারপরেই তাঁকে ধরে দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারের কথা ঘোষণা করে এনআইএ। সূত্রের দাবি, ওই ঘোষণার পরে আত্মগোপন করেন কিশোরদা।
এ দিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, তারা বিভিন্ন মিডিয়ার সূত্রে জেনেছে, তিন দিন আগে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী সব্যসাচী গোস্বামীকে এসটিএফ সিমলাপাল থেকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে সম্প্রতি কলকাতাতে আনা হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। সমিতির অভিযোগ, গ্রেফতার করলেও ‘অ্যারেস্ট মেমো’ দেওয়া হয়নি। তাদের দাবি, এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেই অতীতে পুলিশ রাজনৈতিক কর্মীদের হেফাজতে হত্যা করেছে। সব্যসাচীর ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। সব্যসাচীর মুক্তির দাবি তোলা হয়।
সূত্রের দাবি, সোদপুর ঘোলার বাসিন্দা সব্যসাচী প্রায় বছর দশেক আগে অসম থেকেই এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হন। সোদপুরে তাঁর এক বোনও আছে বলে জানা গিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, সম্প্রতি নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে মাওবাদীদের গতিবিধি কিছুটা বেড়েছে। সম্প্রতি সেখান থেকে প্রতীক ভৌমিক নামে এক মাওবাদী নেতা গ্রেফতারও করা হয়েছে।