প্রতীকী ছবি।
দেশের সামগ্রিক হারের থেকেও পশ্চিমবঙ্গে প্রসবকালীন মৃত্যুর হার বেশি বলে কেন্দ্রীয় রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ‘ম্যাটারনাল মর্টালিটি রেশিয়ো’ (এমএমআর) বা প্রসবকালীন মৃত্যু নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানটি পুরনো হলেও রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা এই বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এতটাই যে, এ বার থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টেয় প্রতিটি জেলার সঙ্গে প্রসবকালীন মৃত্যু নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবে স্বাস্থ্য দফতর।
মঙ্গলবার ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা বৈঠকে প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে এ কথা জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, জেলার যে-হাসপাতালে প্রসূতি মারা যাবেন, সেখানকার সুপার, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে ওই বৈঠকে হাজির হয়ে সেই মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘এসআরএস’ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-১৯ সালে গোটা দেশে এক লক্ষ প্রসবের নিরিখে ‘এমএমআর’ ১০৩ (২০১৬-১৮-তে ছিল ১১৩)। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ‘এমএমআর’ ১০৯।
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ২০০৭-০৯ সালে রাজ্যে প্রসবকালীন মৃত্যুহার ছিল ১৪৫। ধাপে ধাপে তা কমে ২০১৫-১৭ সালে হয় ৯৪। কিন্তু ২০১৬-১৮ সালে ফের তা বেড়ে হয় ৯৮। আর তার পরেই একশোর ঘরে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘২০১৭-১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এমএমআর যে বেশি হয়েছে, সেটা ঠিক। তবে ধারাবাহিক পদক্ষেপের ফলে প্রসবকালীন মৃত্যুহার ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।’’ অতিমারি পর্বে প্রসূতিদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে কিছুটা সমস্যা হলেও তা সামলে নেওয়া গিয়েছে বলেও জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যসচিব। সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়ানোর ফলে ২০০৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তবে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছতে গেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর খামতিগুলি মেটাতে হবে।’’