কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে অবৈধ কসাইখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি তারা জানায়, যত্রতত্র নয়, সরকারি নজরদারিতে জেলায় জেলায় নির্দিষ্ট কয়েকটি কসাইখানা চালুর অনুমতি দেওয়া হবে।
নবদ্বীপে কসাইখানা গড়তে আগ্রহী নয় রাজ্য সরকার। ফাইল চিত্র।
নদিয়ার নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। তাই সেখানে কসাইখানা গড়তে আগ্রহী নয় রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার ওই খাতে যা অর্থ দিয়েছিল তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টে এমনটাই জানাল রাজ্য। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হন মামলাকারী। ফলে মঙ্গলবার উচ্চ আদালত ওই মামলাটির নিষ্পত্তি করার কথা ঘোষণা করে।
কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে অবৈধ কসাইখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি তারা জানায়, যত্রতত্র নয়, সরকারি নজরদারিতে জেলায় জেলায় নির্দিষ্ট কয়েকটি কসাইখানা চালুর অনুমতি দেওয়া হবে। পুরসভা এলাকায় কোথাও, কীভাবে হবে তা ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট পুরসভার কমিশনার। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন ভক্তিসাধন তৎপর মহারাজ। আদালতে তাঁর আবেদন, অন্য কোথাও কসাইখানা হলে তাঁর আপত্তি নেই। কিন্তু নবদ্বীপ পুরসভা এলাকায় যেন ওই অনুমতি না দেওয়া হয়। এতে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত পাবে। এর থেকে আগামিদিনে অশান্তির আশঙ্কাও থাকছে। তার পর বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রও আলাদা করে ভাবনা-চিন্তা করে। তত দিনে অর্থ এসে পৌঁছে গিয়েছে নবদ্বীপ পুরসভার হাতে।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। সেখানেই রাজ্যের কৌঁসুলি আদালতকে জানান, নবদ্বীপ পুরসভার কমিশনারের কাছ থেকে রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। চৈতন্যদেবের জন্ম সেখানে। ওই জায়গায় মহাপ্রভুর বিভিন্ন দার্শনিক ধ্যান-ধারণার পরিচয় মেলে। ফলে ওই শহরের নিজস্ব একটা ঐতিহ্য এবং গরিমা রয়েছে। তাই সেখানে কসাইখানা গড়তে চায় না রাজ্য। আগেই ওই প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ কেন্দ্রকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।